কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের চর গোপালপুর ‘বি-২ বি কে’ খালের ওপরের ব্রিজতে দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপুর্ণ চলাচল করছে এলাকাবাসী। প্রায় দুই বছর আগে ব্রিজটি ভেঙে পড়ে চলাচলের অনুপযোগী হাওয়ায় অর্ধেক বাঁশের চরাট দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করেছে স্থানীয়রা।
এলাকাবাসী জানায়, প্রায় দুই বছর আগে এই ব্রিজটির অর্ধেক অংশ ভেঙে পড়ে মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সে সময় স্থানীয় মেম্বার শাজাহানসহ গ্রামের মানুষজন বাঁশ দিয়ে কোনমতে চলাচলের ব্যবস্থা করেন।
স্থানীয় জিয়ারখী ৪নং ওয়ার্ডের (চার গোপালপুর) ইউপি সদস্য শাজাহান জানান, প্রায় দুই বছর আগে এই ব্রিজটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে। আমি স্থানীয়দের সাথে নিয়ে কোন রকম বাঁশের চরাট দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ইতিপূর্বে আমি এলজিইডি, স্থানীয় ও ইউএনওকে এই ব্রিজের বিষয়ে জানিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত ব্রিজ নির্মাণ করা হয়নি।
এই ব্রিজ দিয়ে এই ইউনিয়নের প্রায় অর্ধেকের বেশী মানুষ চলাচল করেন। হরলা, মেটন ও মোল্লা তেঘরিয়া এলাকার লোকজন এই ব্রিজ দিয়ে কমলাপুর বাজারে যাতায়াত করেন। এখন কোনমতে বাই সাইকেল, মোটরসাইকেল, ভ্যান রিক্সা ও মানুষ চলাচল করছে। এতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। শুনেছি আগামী অর্থ বছরের এই ব্রিজটি নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।
স্থানীয় জিয়ারখী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যন (ইউপি) ইউসুফ আলী মোল্লা বলেন, এই খালটি কুষ্টিয়া পৌরসভার হাউজিং এলাকা হয়ে চাপাইগাছি বিলের সাথে যুক্ত হয়েছে। চর গোপালপুর গ্রামের এই ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে বাঁশের চরাট দিয়ে কোন রকম মানুষ পারাপারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা ব্রিজটি নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবগত করেছি।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী/শাখা কর্মকর্তা (পুর) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গোপালপুর ‘বি-২ বি কে’ খালের উপরের ব্রিজিটি ঝুঁকিপুর্ণ হাওয়ায় আমি সেখানে একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছি। এ ছাড়াও আমাদের গঙ্গা-কপতাক্ষ সেচ প্রকল্পের (জিকে) আওতায় যে ব্রিজ-কালভাট নির্মাণ করা হবে সেখানে ছবিসহ এটি দেয়া হয়েছে। তবে এখনো প্রকল্প অনুমোদন হয়নি। প্রকল্পটি অনুমোদন হলে ব্রিজটি পূনর নির্মাণ করা হবে।