মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে এ বছর যশোর শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় দ্বিগুণ–সংখ্যক পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এ বছর ৩০ হাজার ৮৯২ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেলেও তাদের মানসম্মত কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
গত বছর এই বোর্ডে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ৪৬১। গত বছরের তুলনায় এবার ১৪ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেল। জিপিএ-৫ প্রাপ্তির এই সংখ্যা যশোর বোর্ডে রেকর্ড। এর আগে মাধ্যমিকে এত বেশি–সংখ্যক পরীক্ষার্থী কখনোই জিপিএ-৫ পায়নি।
জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যার পাশাপাশি এই বোর্ডে পাসের হারও কিছুটা বেড়েছে। এ বছর পাসের হার ৯৫ দশমিক ১৭ ভাগ। যেখানে গত বছর ছিল ৯৩ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।
আজ দুপুরে দেড়টার দিকে প্রেসক্লাব যশোরের মিলনায়তনে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মাধব চন্দ্র রুদ্র এসব তথ্য জানান।
এ বছর যশোর বোর্ডে মোট ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫০১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১ লাখ ৬১ হাজার ৩১৪ জন উত্তীর্ণ হয়। পাসের হার ৯৫ দশমিক ১৭। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩০ হাজার ৮৯৩ জন।
এত–সংখ্যক জিপিএ-৫ প্রাপ্তির বিষয়ে জানতে চাইলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, ‘তিনটি কারণে এবার যশোর শিক্ষা বোর্ডের ফল সন্তোষজনক হয়েছে। কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে সংক্ষিপ্ত পাঠসূচির মধ্যে থেকে প্রশ্ন হয়েছে। উত্তর লেখার জন্য শিক্ষার্থীদের সামনে প্রশ্নপত্রে বেশি অপশন ছিল। যেমন রচনামূলক প্রশ্নের ক্ষেত্রে ১১টি প্রশ্নের মধ্যে ৪টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে। আবার নৈর্ব্যত্তিক প্রশ্নেও একই ধরনের সুযোগ ছিল। পরীক্ষার্থীরা সময়ও পেয়েছে যথেষ্ট। এ ছাড়া এই পরীক্ষার্থীরাই বোর্ডের প্রশ্নব্যাংকের প্রশ্নে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা দিয়েছে। ফলে তাদের বোর্ড মানের প্রশ্নে পরীক্ষা দেওয়ার অভ্যাস আগে থেকেই ছিল।’
কুষ্টিয়া:- মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে জেলার মধ্যে শীর্ষ স্থান লাভ করেছে কুষ্টিয়া জিলা স্কুল জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪৩ জন শিক্ষার্থী।
অন্যদিকে কুষ্টিয়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৩৮ জন শিক্ষার্থী। দুটি বিদ্যালয়ে গত বছরের তুলনায় এবার জিপিএ-৫ এর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রতিষ্ঠান সুত্রে জানা গেছে, এ বছর কুষ্টিয়া জিলা স্কুলে এ বছর ২৯১ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪৩ জন শিক্ষার্থী। গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ১৭৪ জন শিক্ষার্থী।
কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক এফতে খাইরুল ইসলাম বলেন, ফলাফলে সন্তোস প্রকাশ করছি, তবে শতভাগ জিপিএ-৫ পেলে বেশি খুশি হতাম।
অন্যদিকে কুষ্টিয়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৭৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৩৮ জন শিক্ষার্থী। গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ২০৪ জন শিক্ষার্থী। এদিকে জিপিএ-৫ বৃদ্ধিতে কুষ্টিয়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক সন্তোস প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বরাবরই এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীরা ভালো ফলাফল করে।
অপরদিকে কুষ্টিয়া কুওয়াতুল ইসলাম কামিল মাদ্রাসায় দাখিল পরীক্ষায় ৩৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩১ জন শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ০৪ জন শিক্ষার্থী। ফলাফলে সন্তোস প্রকাশ করেছেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মাওলানা তরিকুর রহমান ।