সরকারি প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে এবার ১২ হাজার পদের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৪ লাখ ১ হাজার ৫৯৭টি। প্রতি আসনে লড়বেন ২০০ জনের বেশি প্রার্থী। এ অবস্থায় এত সংখ্যক প্রার্থীর পরীক্ষা একযোগে নেয়া সম্ভব না হওয়ায় জেলাভিত্তিক পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
কিছু জেলায় লাখের কাছাকাছি আবেদন পড়ায় নতুন জটিলতা তৈরি হয়। এরপর মন্ত্রণালয়ে যে জেলায় ৫০ হাজারের বেশি আবেদন পড়েছে সেখানে ভাগে ভাগে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। একই জেলায় ভাগে ভাগে পরীক্ষা হলে ভিন্ন সেটে পরীক্ষা নিতে হবে।
এদিকে শুধুমাত্র কুষ্টিয়া জেলায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদন পড়েছে ৩২ হাজার ৬০৯টি, এর বাইরেও খুলনা বিভাগের অন্যান্য জেলায় আবেদন পড়েছে মেহেরপুরে ১০ হাজার ৮৮৮টি, চুয়াডাঙ্গায় ১৮ হাজার ৬৬১টি, ঝিনাইদহে ৩৭ হাজার ৬১৭টি, মাগুরায় ২১ হাজার ৯৬২টি, নড়াইলে ১৫ হাজার ৬১৪টি, সাতক্ষীরায় ৪৫ হাজার ৬১টি, খুলনায় ৪৭ হাজার ১৮৮টি, বাগেরহাটে ৩২ হাজার ৯৭টি।
জানা যায়, আগামী ১৫ মার্চ থেকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় কয়েক ধাপে পরীক্ষা নেয়া হবে। ৫০ হাজারের বেশি যেসব জেলায় আবেদন জমা পড়েছে সেসব জেলায় ভেঙ্গে পরীক্ষা নেয়া হবে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে সভা করে কোন জেলায় কবে পরীক্ষা হবে তা নির্ধারণ করা হবে। বুয়েটের বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে মানসম্মত প্রশ্ন তৈরি করা হবে। প্রশ্নের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ থাকবে না।