স্কুল ছুটি হয় বিকাল ৪টায়। ছুটি হওয়ার পরেই রমানাথপুর স্কুল এন্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণি কক্ষে ৫ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে করান স্পেশাল কোচিং। আর এই ৫ জনের মধ্যে তিনজন ছাত্র ও ২ জন ছাত্রী।
এক ঘন্টা কোচিং শেষে ২ জন ছাত্র ও একজন ছাত্রীকে ছুটি দিয়ে বাকি দুই ছাত্র-ছাত্রীকে করান ডাবল স্পেশাল কোচিং। গণিতের ভাষায় স্পেশাল স্কয়ার! জনসাধারণের কাছে বিশ্বাস পাওয়ার জন্য তার কৌশলটি অভিনব। ছাত্রটিকে প্রথম বেঞ্চে বসিয়ে ঐ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছাত্রীকে নিয়ে তিনি বসেন কয়েক বেঞ্চ পরে। ওদিকে তার শিকারী রোবট ছাত্রটি মনযোগ দিয়ে অংক করেন। আর পেছনের বেঞ্চে শিক্ষক বিপ্লব তার ছাত্রীকে নিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকেন।
বিপ্লব কুষ্টিয়ার খোকসার রমানাথপুর স্কুল এন্ড কলেজের বিএসসি শিক্ষক। ক্লাস নেন গণিতের। গণিতে তার অগাধ দখল। তবে তিনি শুধু গণিতেরই নয়; তিনি রোমান্সেরও দারুণ শিক্ষক।
সম্প্রতি রমানাথপুর স্কুল মাঠে খেলাধুলা করছিল স্থানীয় যুবকেরা। এদের মধ্যে একজন পানি পান করতে বিদ্যালয়ের নলকূপে যান। পানি পান করে আসার পরে ক্লাস কক্ষে উঁকি মেরে দেখেন শিক্ষক ও ছাত্রীর অনৈতিক দৃশ্য তাৎক্ষণিক সে তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন থেকে ভিডিও করেন। সেই ভিডিও পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
পাঠকদের সুবিধার্থে সেই ভিডিও দেওয়া আছে নিচে।
এ ব্যাপারে শিক্ষক বিপ্লব বিশ্বাসের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে স্কুল জানেন। তিনি কিছুই বলতে পারবেন না। তার কাছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ফোন নাম্বার চাওয়া হলে তিনি দিবেন বলে ফোনটি কেটে দেন। পরে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামালের ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
তবে স্থানীয়দের ক্ষোভ। তারা ঘটনাটির ভিডিও স্কুলে শিক্ষকের কাছে জানিয়েছেন। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ মানসম্মানের ভয়ে বিষয়টি চেপে যান। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে তার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন স্থানীয় প্রশাসনের।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া শিক্ষক ও ছাত্রীর অনৈতিক ভিডিও ক্লিপ:
https://www.youtube.com/watch?v=Rc2XDAVFcok