ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করেছেন এক শিক্ষক। সম্প্রতি ডিবিসি নিউজে দেওয়া লাইভ সাক্ষাৎকারে ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানহানীকর বক্তব্য উপস্থাপন করায় বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন তিনি।
গত ১৭ অক্টোবর কুষ্টিয়ার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইবি আমলী আদালতে মামলাটি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। নালিশী মোকদ্দমার দরখাস্তে অভিযুক্ত ঐ ছাত্রের নাম মিজানুর রহমান লালন। তাকে মামলার প্রধান বিবাদী করে ও ডিবিসি নিউজের প্রধান সম্পাদক মুনজুরুল ইসলামকে ২ নম্বর বিবাদী করে দন্ডবিধির ৫০০/৫০১/৫০২ ধারা মোতাবেক মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলা নম্বর ইবি সি, আর ১৫৪/২০১৯।
জানা যায়, গত ২৩ সেপ্টেম্বর ডিবিসি নিউজে “মানচিত্রঃ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অস্থিরতা” বিষয়ক লাইভ সাক্ষাৎকার দেন মামলার প্রধান বিবাদী, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান লালন। এসময় তিনি মামলার বাদী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন।
এসময় তিনি অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ বানিজ্যের মূলহোতা, শিক্ষার্থীদের দেখে নেয়ার হুমকি, ছাত্রলীগের উপর গুলিবর্ষণের নির্দেশদাতা একমাত্র তিনিই। এছাড়া ছাত্র থাকাকালীন সময়ে তার ছাত্রশিবিরের সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগও করেন এ নেতা। পরে ড. মাহবুব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষক সমিতি বরাবর তার বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ এনে বিচারের দাবি জানান।
গত শনিবার সমিতির কার্যনির্বাহী সভায় এ অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের সত্যতা যাচাই-বাছাইকরনে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এর আগেই গত ১৭ অক্টোবর নিজে বাদী হয়ে কুষ্টিয়ার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইবি আমলী আদালতে তিনি মামলাটি করেছেন বলে মোকদ্দমার দরখাস্ত সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বিবাদী মিজানুর রহমান বলেন, “কিছুদিন আগে শিক্ষার্থীরা যেসময় তাকে গালিগালাজ করে প্রক্টর পদ থেকে নামিয়ে দিল, তখন সম্মান যায় নি? তবে লাইভে আমি তাকে “ইবির শিক্ষার্থী” বলেছিলাম, এটার ভূল স্বীকার করছি। তিনি যে মামলা করেছেন, এটি টিকবে না। আমার কাছে যে তথ্য-প্রমান রয়েছে তা আদালতে পেশ করলে তার মামলা মিথ্যা ও ভূয়া হিসেবে পরিগণিত হবে এবং নিজেই ফেঁসে যাবেন।”
তবে মামলার বাদী অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানের সাথে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।