মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারকারী অপরাধীদের অপরাধ দমনে বিদ্যমান আইনের প্রয়োগ ও মামলা পরিচালনার জন্য ফৌজদারী বিচার আদালতের বিজ্ঞ বিচারকবৃন্দ, জেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, প্রসিকিউশন টিম ও বিজ্ঞ আইনজীবীদের নিয়ে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শনিবার দিনব্যাপী এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আয়োজনে মাননীয় জেলা ও দায়রা জজ অরুপ গোস্বামী সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন, স্পেশাল জেলা ও দায়রা জজ মো: কামরুল হাসান, বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: জহির রায়হান, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মো: আশরাফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ,কে,এম জহিরুল ইসলাম, ৪৭ বিজিবি ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর আ,ন,ম নজরুল ইসলাম(পিএসসি), অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হাসান হাবীব, বিজ্ঞ পিপি অনুপ কুমার নন্দী, কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম দুলাল, ল কলেজের প্রিন্সিপ্যাল ও সিনিয়র আইনজীবী আমীরুল ইসলাম, র্যাব-১২ এর ডিএডি হারুন অর রশিদ, জেলা আইনজীবীর সমিতির সিনিয়র আইনজীবী সুধীর কুমার শর্মা প্রমুখ।
এ্যাডভোকেট শ্রাবন্তী মুখার্জীর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: মিজানুর রহমান।
বক্তাগণ বলেন, প্রাক্তন আসামীকে সাক্ষী না করা, জব্দকৃত তালিকায় কাহার নিকট কতটুকু আলামাত পাওয়া গেছে তা উল্লেখ করা, কমপক্ষে এস, আই পদ মর্যদার নিয়ে নয় এমন কর্মকর্তা কর্তৃক জব্দতালিকা প্রস্তুত করা, আলামত ওজনের সময়ে ব্যাগসহ ওজন না করা, ওজনের ক্ষেত্রে আনুমানিক শব্দ ব্যবহার না করা, আলামতের রং উল্লেখ করা, আলামত মাদকদ্রব্য হলে অবশ্যই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা, আলামত জব্দ করার সময় রাসায়নিক পরীক্ষার নমুনা সাক্ষীদের সামনে আলাদা করে সাক্ষর নেয়া, এজাহার এবং জব্দ তালিকার বর্ণনা একই রকম হওয়া।
তদন্তের সময়সীমা অতিক্রমের পুর্বেই আদালতের নিকট থেকে সময় বৃদ্ধির আবেদন করা, ওজনের পরিমাপযন্ত্র রেইডিং পাির্টর কাছে রাখা, সহযোগী সাক্ষীদের জবানবন্দী বাদী বা এজাহারকারীর জবানবন্দীর অনুরুপ হওয়া।