কুষ্টিয়ায় দেড় শতাধিক মাদক ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করছে। তালিকাভুক্ত দুই শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ইতিমধ্যে এনকাউন্টারে মারা গেছে। ভারতে পালিয়ে গেছে বেশ কয়েকজন।
রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয়ে এসব মাদক ব্যবসায়ী বহাল তবিয়তে ছিল এতদিন। তবে পুলিশ আগের তুলনায় কঠোর অবস্থানে যাওয়ায় বদলে গেছে সেই চিত্র। মাদক ব্যবসায়ীদের যে সিন্ডিকেট ছিল তা ভেঙে পড়েছে।
তালিকার অন্তত অর্ধেক মাদক ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণে রাজি হয়েছে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে। জেলার অন্তত দেড় শতাধিক মাদক ব্যবসায়ী দ্রুত সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণ করবে। এসব মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের পুনর্বাসনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। আর যারা আত্মসমর্পণ করবে না তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে জেলা পুলিশ।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ও নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা পুলিশ মাদক নির্মূলে কাজ করছে। জেলায় কোনো মাদক থাকবে না।পুলিশের কেউ মাদকে জড়িত থাকলে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ। আমরা মাদক ব্যবসায়ীদের সুযোগ দিতে চাই। তারা যদি আত্মসমর্পণ করে তাহলে ভালো। তাদের আমরা সহায়তা করব। আর যদি আত্মসমর্পণ না করে আইনের কঠোর প্রয়োগ করা হবে।
মাদক নির্মূলে জেলা কোর কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন বলেন, জেলায় বড় একটি সীমান্ত এলাকা রয়েছে। সীমান্ত দিয়ে যাতে কোনো ভাবেই মাদক প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে সমন্বিতভাবে কাজ চলছে। বিজিবির সঙ্গে অন্যান্য বাহিনীকে নিয়ে মাদক নির্মূলে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।