সরকার রাজীবঃ রাজধানীর মহাখালী ওয়ারলেস গেইট টিএন্ডটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে কড়াইল বেলতলা হয়ে স্যাটেলাইট পর্যন্ত ফুটপাত ও সড়ক দখল করে গড়ে উঠেছে বিশাল বাজার। এর ফলে ব্যস্ততম সড়কটি হয়ে পড়েছে সংকীর্ণ। সন্ধ্যা হতে না হতেই সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। স্বচ্ছন্দে চলাচল করতে পারছে না বলে অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগী পথচারীরা। প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া-আসা করতে শিক্ষার্থীদেরও চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
সড়ক দখল করে পসরা সাজিয়ে বসা ব্যবসায়ীদের দাবি দৈনিক ২০০-৪০০ টাকা চাঁদা দিয়ে ফুটপাত ও সড়কে ব্যবসা করছেন তারা। কারা এই চাঁদা তুলছে এ নিয়ে মুখ খুলতে রাজি নয় ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, টিএন্ডটি স্কুলের সামনে, টিএন্ডটি মাঠের পাশে, কড়াইল বেলতলা-স্যাটেলাইট সড়ক ও ফুটপাত চলে গেছে বাজারের দখলে। সড়ক ও ফুটপাতের উপর ঘর করা দোকান দেখে মনে হবে এ যেন স্থায়ী বাজার। অবাধে বসেছে কাপড়, খেলনা, মুদি মালামাল, শাকসবজি, ফলমূল, তরিতরকারি ও মাছের দোকান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ফুটপাতে হেঁটে যাওয়ার মত কোন পথই আর অবশিষ্ট নেই। ফুটপাত দখল করে বসানো হয়েছে ঘর করা দোকান। এখন আবার মূল সড়কে বসেছে ভ্যান গাড়িতে অবৈধ বাজার। বিকাল ৫ টার পর রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার মত অবস্থায় থাকে না। সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। দেখার যেন কেউ নেই।
কড়াইলের বাসিন্দা নাছিম আহম্মেদ বলেন, ‘ফুটপাত ও সড়ক দখল করে অবৈধ দোকান ও বাজার। এটা মেনে নেওয়া যায় না। কিন্তু আমরা অভিযোগ করব কার কাছে? যাদের কাছে অভিযোগ করব তারাই তো এখান থেকে তোলা চাঁদা ভাগবাটোয়ারা করে খায়’
সড়ক ও ফুটপাতে বাজার বসা ব্যবসায়ীরা জানান, তারা দৈনিক দোকান অনুসারে ২০০-৪০০ টাকা চাঁদা দিয়ে এখানে ব্যবসা করেন। তবে কে বা কারা এই চাঁদা তোলে এই বিষয়ে ভয়ে কেউই মুখ খুলতে রাজি হননি। তবে জানা যায়- থানা পুলিশ, আনসার, সরকারি কর্মকর্তা, নেতাসহ সবাইকে ম্যানেজ করেই এই দোকানগুলো বসে। চাঁদার টাকা কালেকশন করতে আছে নির্ধারিত লাইনম্যান।