শাহনাজ রাসেল শাম্মী ঃ তাপস স্যার ঘোড়াড় ডিম করবে। আজ ৯.০০টা থেকে ১২.০০টা পর্যন্ত বসে ছিলাম, নাহ কোনো ডাক্তার নাই। পরে এক নবাব ডাক্তার আসলেন ১২.৩০ মিনিটে। যাই হোক ঢুকলাম দেখাতে, ওমা উনার সন্তানের স্কুল থেকে ফোন আসল, আমাকে মাত্র ৩০ সেকেন্ড দেখলেন দায় সারা দেখা আর কি, আমার কোন সমস্যা শুনলেন না, আগের প্রেস্ক্রিপশন টাও দেখলেন না, ওষুধ লিখে দিলেন, চলে যেতে বললেন।
এই হলো চিকিৎসা আমাদের দেশের। আর তাপস স্যার কিছুই দেখেন না, জানেন ও না। কে অভিযোগ করবে বলুন তো? কার সাধ্যি আছে এতো বড় মানুষদের সাথে পেরে ওঠা তাদের হাত যে অনেক উপর মহলে। ১.০০টার সময় এসে ২.৩০ এ চলে যাওয়া এমন সুখের চাকরি কে না চায় বলুন তো!
প্রতিবাদ আমি একাই করেছি ফলাফল কি জানেন, ওখানের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা খালারা বলেন ঝামেলা কোথাকার জানতো এখান থেকে, আমার কিছুই করতে পারবেন না, আবার ২০ টাকা ঘুষ দিতে হবে তাদের আগে ডাক্তার দেখানোর জন্য, এ গুলো যদি ফলাও করে সংবাদ পত্রে বারবার ছাপা যেতো প্রধানমন্ত্রী যদি একবার আমাদের দুর্ভোগ দেখতেন, আর ওই মানুষরূপী ডাক্তার যারা লক্ষ টাকা খরচ করে পড়ে ভিজিট বেশি করে নেওয়ার মাধ্যমে বাইরে রুগী দেখেন তাদের শিক্ষানবিশ সময়ের টাকা তুলে আনার জন্য, যারা সেবা করার থেকে টাকাকে প্রাধান্য দেন, তাদের যদি শাস্তির ব্যবস্থা করেন, জবাবদিহিতা থাকে, এবং মনিটরিং ব্যবস্থা থাকে তাহলে আর অন্যায় করার সাহস পাবেনা কেউ।
আরও মজার ব্যাপার কি জানেন আর এক ডাক্তার এসে সবে মাত্র দুটি রোগী দেখেছেন হঠাৎ এক খালা এসে বললেন স্যার এখনই চলেন, আমার জায়গায় আপনি হলে কি ভাবতেন! নিশ্চয় ইমারজেন্সি, কিন্তু না রোগী দেখা বাদ দিয়ে শীতের পিঠা খেতে যেতে হবে তখনি, ডাক্তার বললেন ৩০ মিনিট পরে আসছি। অনেকে যখন বসে থাকতে থাকতে অস্থির পাশে বসে থাকা গ্রাম থেকে চিকিৎসা নিতে আসা কিছু মানুষ যারা বলছে সাংবাদিক কই এখন ওরা থাকলে হতো। কতটা কষ্টে তারা এ কথা বললেন। ডাক্তারদের সময়ের অনেক দাম, আর এ মানুষগুলোর? এই হল অবস্থা।
আমি সব ডাক্তারকে এক কাঠিতে মাপবোনা, তবে ভালো ডাক্তার আছে হাজারে একটা, হয়তো আমরা এদের মাঝে তাদের গুলিয়ে ফেলি, মূল্যায়ন করতে পারিনা। আমার মতো সবাই এমন ভুক্তভোগী তাই শেয়ার করলাম ধন্যবাদ।