কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়ন কলেজ ছাত্রী টগরি খাতুনকে এক বখাটে ছুরিকাঘাত করেছে বলে জানাগেছে।
প্রত্যক্ষ দর্শী কলেজ ছাত্রী ফাতেমা জানান, আমরা কলেজে আসার পথে হোসেনাবাদ গ্রামের মৃত্য আছান আলীর ছেলে রাজু আমাদের ভ্যানের পিছনের দিকে বসে কলেজের দিকে আসতে থাকে। কলেজে পোঁছালে রাজু টগরিকে ডাকতে থাকে টগরি তার কথা না শুনে কলেজের দিকে হাটতে থাকলে রাজু হঠাৎ একটি প্রায় ১৫ ইন্চি পরিমান ছুরি দিয়ে টগিরির পেটে আঘাত করে। আমি চিৎকার দিলে রাজু পালিয়ে যায়।
পারিবারিক সুত্রে যানা যায় টগরি আদাবাড়ীয়া ইউনিয়ন কলেজে একাদ্বশ শ্রেণীতে পড়া-লেখা করে, প্রতিদিনের ন্যায় আজকেও কলেজে গেলে বখাটে রাজু তাকে ছুরিকাঘাত করে। উক্ত বিষয়ে ১১ নং আদাবাড়ীয়া ইউ পি সদস্য (০৮ নংওয়ার্ড) মোঃ রেজাউল হক নান্টু জানান, টগরির বেশকিছু দিন আগে রাজুর সাথে বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু রাজু কোন কাজ কর্ম করেনা বেকার ঘুরে বেড়ায়, নানা ধরনের নেশা করতো বলে টগরি তাকে ৫ থেকে ৬ মাস আগে ডিভোর্স দেয় এবং পরবর্তিতে সে লেখা পড়া করার জন্য কলেজে ভর্তি হয়।
বখাটে রাজু ছুরিকাঘাত করার পরে মাঠে পালিয়ে যায়। কলেজ ছাত্র ও তেকালা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এর সাহায্যে তাকে উদ্ধার করে কলেজে নিয়ে আস হয়। আতঃপর রাজু নিজে বিষপান করে এবং নিজের গলাই ছুরি চালিয়েছে বলে জানাগেছে। রাজুকে চিকিৎসার জন্য দৌলতপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
টগরির ক্ষত অনেক বেশি হওয়াতে প্রথমে দৌলতপুর হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠান হয়। খবর সংগ্রহ করার সময় পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ করা হয় নি বলে জানা গেছে।