চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় সাইফুল ইসলাম (৩৮) নামে এক এনজিও কর্মীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (২৫ মে) সকালে বাংলাদেশ সীমান্তের দুইশ গজ অভ্যন্তরে মুন্সীপুর এলাকার একটি মেহগনি বাগান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তার গলায় দাগ ও কানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহভাজন দুজনকে আটক করা হয়েছে।
নিহত সাইফুল ইসলাম উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের পীরপুরকুল্লা গ্রামের আব্দার হোসেনের ছেলে ও ব্র্যাকের চাপাইনবাবগঞ্জ শাখার মাঠ কর্মী।
পরিবারের বরাত দিয়ে দামুড়হুদা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক বলেন, রোববার (২৪ মে) সকালে সাইফুল ইসলাম মাংস কেনার জন্য পীরপুরকুল্লা বাজারে যান। এ সময় একই গ্রামের নাজমুল হাসান রতন নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার বিএনপি করা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় রতন তাকে ‘তুই বিএনপি করিস’ এমন কথাও বলেন। উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সাইফুলকে মারধর করেন রতন। ঘটনাস্থল থেকে সাইফুল বাড়ি ফিরে যান।
পরে সাইফুলকে তার বন্ধুরা দুপুরে বাজারে আসার জন্য ডাকেন। তারপর সন্ধ্যায় সাইফুলের স্ত্রী তাকে মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি আর রিসিভ করেননি। পরিবারের লোকজন রাতে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তাকে পাননি।
সোমবার সকালে কুতুবপুর বিজিবি ক্যাম্পের পাশের একটি বাগানে মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয় কৃষকরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাইফুলের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা-জীবননগর সার্কেল) আবু রাসেল এবং দামুড়হুদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক।
পুলিশ কর্মকর্তা আবু রাসেল জানান, ‘সাইফুল ইসলামের গলায় রক্ত জমাট বাঁধার লাল দাগ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টের পর প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হবে।’