কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার গোপগ্রাম ইউনিয়নের তাহেরপুর গ্রামে সুমন হোসেনের স্ত্রী মিম খাতুন (২২) নামের এক গৃহবধুর গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার (০৯ মে ২০২০) রাতে গলাই ফাঁস দিয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, ৫ বছর আগে ভালবেসে স্বামী সুমন হোসেনের সাথে প্রেম ভালবাসা করে বিয়ে করে মিম খাতুন ও সুমন হোসেন। স্বামী সংসার নিয়ে পাঁচ বছর যাবত সংসার করছে। স্বামীর ঘরে ছিল গৃহবধূ স্কুলছাত্রী মোছাঃ মিম খাতুন (২২) স্বামী সুমন হসেন (২৪)। ৫ বছরের সংসার জীবনে তাদের কোন সন্তান ছিল না। আমবাড়ি ইউনিয়নের তাহেরপুর গ্রামে মিম খাতুনের শশুরবাড়ি। প্রেম ভালোবাসা করে বিয়ে করে পাঁচ বছর আগে। স্বামীর সংসার ভালোই চলছিল। টুকিটাকি ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত বউ-শাশুড়ি। শনিবার রাতে শাশুড়ি ও বউ এর মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্বামী স্ত্রীর উপর চড়থাপ্পড় দেয়। অভিমানে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করছেন স্বামী সুমন হোসেনের মামা স্কুল মাস্টার মিজানুর রহমান।
খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল আলম জানান, অপমৃত্যুর খবর পেয়েছেন। গোপগ্রাম পুলিশ ফাঁড়ির আইসি এসআই আব্দুর রাজ্জাক কে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। লাশের সুরতহালের পরে জানা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা?
তবে প্রতিবেশীর দাবি সুপরিকল্পিতভাবে মিম খাতুন কে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। নিহত মিম খাতুন এর বাবা নজরুল খানের দাবী তার মেয়েকে যৌতুকের দাবিতে তার জামাই সুমন হোসেন ও তার মা হত্যা করেছে। প্রায় দিন মিম এর শাশুড়ি তার ওপর অকথ্য গালিগালাজ ও নির্যাতন চালাত।
এ বিষয়ে জয়ন্তীহাজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, প্রেম-ভালোবাসা করে তারা পাঁচ বছর আগে বিয়ে করেছিল। গতকাল শনিবার রাতে মিমের বাবা নজরুল খান এর উপস্থিতিতেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি ও পরে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার পর রাতেই এই অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
এ ব্যাপারে খোকসা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।