ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২০ এপ্রিল সোমবার ঢাকা পিজি হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষায় তিনি পজিটিভ শনাক্ত হন। বর্তমানে আক্রান্ত ওই শিক্ষার্থী রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের আরও দুইজন করোনায় আক্রান্ত বলে জানা গেছে। তার শারীরিক অবস্থা ভালো বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। শনিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মিঠুন মুস্তাফিজ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই শিক্ষার্থী পুরান ঢাকায় তার মামার বাড়িতে থাকার সময় করোনার প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দেয়। পরে পরিবার চিকিৎসার ও করোনার টেস্ট করানোর জন্য ঢাকার পিজি হাসপাতালে ভর্তি করান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নমুন সংগ্রহের পর রিপোর্টে জানা যায় তিনি করোনায় আক্রান্ত।
জানা যায়, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা পরই জায়েদ তার নানা বাড়ি ঢাকার টিকাটুলিতে যায়। এসময় তিনি বিভিন্ন সংগঠনের সাথে থেকে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নেয়। পরে জায়েদের মামার করোনার লক্ষণ দেখা দিলে তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
এরপর জায়েদের নানার (৮০) একই লক্ষণ দেখা দিলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পরে ওদের জ্বর, সর্দি, কাশি হলেও তা সেরে যায়। সেরে যাওয়ার পরে ওরা কৌতুহল বশত করোনা টেস্ট করায়। জায়েদ ও তার ছোট ভাইয়ের করোনা পজিটিভ আসে। বর্তমানে তিনি ঢাকার মুগদা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মিঠুন মুস্তাফিজ বলেন, ‘আমি প্রতিনিয়ত খোঁজ রাখছি। কয়েকটি টেস্টে দেখা গেছে অবস্থার উন্নতি হচ্ছে ধীরে ধীরে। আশা করি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা প্রতিরোধ সেলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘আমি এখনো ঐ শিক্ষার্থীর সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি। বিভাগে যোগাযোগ করছি।’
এই বিষয়ে ইবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. রাশিদ আসকারী বলেন, আমরা বিষয়টি ওয়াকিবহাল আছি। সব সময় আক্রান্ত ওই শিক্ষার্থীর খবর নিচ্ছি। সে আগের তুলনায় অনেক ভালো আছে বলে জেনেছি।