রাজশাহীতে একটি ট্রাক চুরির ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে এলো দেশের ট্রাক চোর সিন্ডিকেটের মূল হোতার নাম। সেই সঙ্গে বেরিয়ে এলো ৮০টি ট্রাক চুরির তথ্য।
এর মধ্যে গিয়াস উদ্দিন (৩০) নামে সংঘবদ্ধ ট্রাক চোর চক্রের আরেক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কুষ্টিয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার গিয়াস উদ্দিন কুষ্টিয়া সদরের বাসিন্দা। পুলিশের বিশেষ এ অভিযানে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি হওয়া সাতটি ট্রাক উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে গিয়াস উদ্দিনকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে হাজিরা করা হয়। এ সময় জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ বলেন, তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সারাদেশ থেকে প্রায় ৮০টির মতো ট্রাক চুরির তথ্য পেয়েছে পুলিশ। এ পর্যন্ত চুরি হওয়া ১২টি ট্রাক এবং একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ট্রাক চুরির পর এ চক্রের সদস্যরা ট্রাকের নম্বর পরিবর্তন করে জাল কাগজপত্র তৈরি করতেন। পরে ট্রাকগুলো বিক্রি করে দিতেন তারা। এ চক্রে বিআরটিএর একশ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশ রয়েছে। এরা ভুয়া কাহজপত্র তৈরিতে সহায়তা করেন ট্রাক চোরদের।
জানা গেছে, গত ৬ জুন সন্ধ্যায় গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়িহাট এলাকা থেকে একটি ট্রাক চুরি হয়। এ নিয়ে ওই দিনই গোদাগাড়ী মডেল থানায় মামলা হয়। এরপর থেকেই চুরি যাওয়া ট্রাক উদ্ধারে নামে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। চারদিনের মাথায় রাজবাড়ী জেলা থেকে ট্রাকসহ সেখানকার আহাদ আলী শেখকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আহাদ আলী চক্রের মূল হোতা কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আদর্শপাড়ার বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম ওরফে মনির এবং তার সহযোগী গিয়াসসহ চক্রের সদস্যদের সম্পর্কে তথ্য দেন। তার তথ্যের ভিত্তিতে রাজশাহী থেকে চক্রের আরও দুই সদস্য সুজন ও আরিফকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর গত ৪ জুলাই চট্টগ্রাম থেকে মনির এবং ১৬ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয় গিয়াসকে।
গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম, যশোর, মাগুরা, কুষ্টিয়া, সিলেট, ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় উদ্ধার করা হয় ১২টি ট্রাক এবং একটি প্রাইভেটকার।