ভুলবশত আমার মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি হয়েছি কিন্তু উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার এই বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে আমার বাড়িতে এসেছে তাই আমি আমার মেয়েকে আর বিয়ে দেবো না।
সোমবার কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর হাইস্কুলের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী নিপা আক্তারের বাল্য বিয়ের খবর শুনে সেখানে হাজির হন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মর্জিনা খাতুন।
এসময় তিনি বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে কিশোরীর পিতা ও মাতাকে বোঝানো হলে বাল্যবিয়ে হিসেবে নিজের মেয়েকে বিয়ে দেবে না এই মর্মে মুচলেকা দেয়।
মুচলেকায়, এই মর্মে অঙ্গীকার করছি যে, আমার মেয়ের বয়স ১৮বছর পুর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আমার মেয়েক বিয়ে দিলে আইনগত যা শাস্তি হবে তাই মেনে নেবো।
অপরদিকে একইদিনে চৌড়হাস আদর্শ পাড়ার বাসিন্দা আমির হোসেন ড্রাইভারের কন্যা ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী নিশি আক্তার (১৪) এর বাল্যবিয়ের খবর শুনে সেখানেও হানা দেন এই কর্মকর্তা।সেখানেও মেয়েকে বিয়ে দেবে না এই মর্মে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে[ দেওয়া হয় তাদের।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মর্জিনা খাতুন বলেন, বাল্যবিবাহ বন্ধে উপজেলা প্রশাসন যথেষ্ট তৎপর রয়েছে। কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুবায়ের হোসেন চৌধুরী স্যারের হস্তক্ষেপ ও সহযোগিতায় বিবাহ দুটি মুচলেকা গ্রহনের মাধ্যমে বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি।
মহিলা বিষয়ক এই কর্মকর্তা আরও বলেন, বাল্য বিয়ে শুধু পরিবারের জন্য নয় সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। একটি কিশোরী মেয়ে ১৮ বছরের নিচে বিয়ে হলে তার শারীরিক সমস্যাসহ নানা স্বাস্থ্যহানির ঝুকি এবং মৃত্যুরও আশংকা থাকে। তাছাড়া শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হলে সেই নাগরিক অশিক্ষিত হয়ে জাতির জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। মনে রাখতে হবে সামষ্টিক উন্নতি আর নিজের উন্নতি গায়ে গায়ে জড়ানো। কেউ ইচ্ছা করলেও নিজের একান্ত বিষয়ে আইন হাতে তুলে নিতে পারেনা। সরকার জতির কলাণের জন্য যে আইন করেছে তার প্রতি সবাইকে আরো শ্রদ্ধাশীল হয়ে উঠতে হবে তবেই দেশ আরো উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে হাঁটবে।