কুষ্টিয়া জেলার, কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের চকর ঘুয়া উত্তর পাড়ার নুর ইসলামের কন্যা শিউলি (ছদ্মনাম)কে ভুয়া কাজী দিয়ে বিয়ে পড়িয়ে একই ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের হজে মোল্লার ছেলে সাইফুল ইসলাম ওরফে বিধানের বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মেয়ের মা লতা বেগমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ আনুমানিক ৫.৩০ মিনিটে বিধান শিউলিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাঁখই গ্রামে তার বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে যায় এবং ভুয়া কাজী দিয়ে বিয়ে পড়িয়ে পরবর্তীতে একাধিকবার একাধিক স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। শিউলি বিধানকে বিয়ের বিষয়টা অভিবাবকদের জানানো এবং তাদের বাড়িতে নিয়ে যাবার কথা বললে সে অস্বীকৃতি জানায়।
এর জের ধরে গত ৯ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে শিউলি তার অভিবাবকদের নিয়ে বিধানের বাড়িতে গেলে তার পিতা হজে মোল্লা, মতিয়ার রহমান, পিতা আক্কাস আলী, ইকবাল হোসেন, পিতা মৃত মোমেজ আলী উভয় গ্রাম দুর্গাপুর তাদেরকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। অন্য কোন গত্যন্তর না দেখে লতা বেগম বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট দরখাস্ত প্রেরণ করে।
এমতাবস্থায় পরবর্তীতে শিউলীর অভিবাবকরা কোন কাজী দিয়ে বিয়ে পড়ানো হয়েছে জানতে
গেলে কাজী অফিসে কোন ডকুমেন্টস পাওয়া যায়নি। হতদরিদ্র নুর ইসলামের কন্যাকে এভাবে ভুয়া কাজী দিয়ে বিয়ে পড়িয়ে মিথ্যা স্বামী/স্ত্রীর সম্পর্ক দেখিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রকান্তরে ধর্ষণের মতো ঘৃন অপরাধের প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। অবিলম্বে বিধান ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী জানিয়েছে সাধারণ জনগণ।