কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মঙ্গলবার দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীসহ বিএনপির ২১জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
এদিকে অভিযানের নামে বিএনপি নেতাকর্মীদের পুলিশী হয়রানী রোধে গতকাল বুধবার দুপুরে দৌলতপুর উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তারের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও ধানে শীষ প্রার্থী রেজা আহাম্মেদ বাচ্চু মোল্লার সহধর্মীনি শামীমা আরা শেফালী।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, নির্বাচরকে ঘিরে সরকার দলীয় প্রার্থীসহ অন্য প্রার্থীরা ব্যাপক প্রচার প্রচারনা চালানোর সুযোগ পেলেও বিএনপির প্রার্থীর ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের প্রচার-প্রচারনার নুন্যতম সুযোগ দিচ্ছে না পুলিশ। প্রতি রাতেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযানের নামে পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের আটক করছে। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে পুলিশের ধরপাকড় তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় মরিচা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাইদুর রহমানসহ প্রায় ২১জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। বাড়িতে বাবাকে না পেয়ে অপু (১৪) নামে ৮ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। পুলিশ গ্রামে গ্রামে গিয়ে ধানের শীষের পক্ষের কর্মী সমর্থকদের তালিকা তৈরী করে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন এবং তাদের ধরতে বিভিন্ন জায়গায় তল্ল¬াশী অভিযান চালাচ্ছেন। মঙ্গলবার একটি অটোবাইকে ধানের শীষের প্রচার মাইক বের করা হলে কল্যানপুর বাজারে পুলিশ প্রচার মাইক বন্ধ করে অটোতে লাগানো ধানের শীষের পোষ্টার ছিড়ে ফেলেন। রাতে ওই অটোচালককে অটোসহ আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। নির্বাচনের নুন্যতম পরিবেশ সৃষ্টি করাসহ পুলিশী হয়রানী রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে দাবী জানান তিনি।
এসময় বাচ্চু মোল্লা মা’সহ আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।