কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকারের নির্বাচনী কার্যালয় থেকে শহর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২৭ নেতাকর্মীকে আটক পুলিশ আটক করেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুষ্টিয়া রেলওয়ে কোর্ট স্টেশন সংলগ্ন নির্বাচনী কার্যালয় থেকে তাদের আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, বিএনপি প্রার্থীর কার্যালয়ের সামনের সড়ক দিয়ে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা মিছিল নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় মিছিলকারীদের ওপর বিএনপির কর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
তবে প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, নির্বাচনী কার্যালয়ে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর সাথে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্বাচনী বৈঠক চলছিল। এ সময় নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা একটি মিছিল মিছিল বের করে এবং বিএনপির নির্বাচনী কার্যালয়ে অকস্মাৎ প্রবেশ করে তাদের হুমকি প্রদান ও কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করে।
এ ঘটনার পর পুলিশ এসে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে ওই কার্যালয় থেকে কুষ্টিয়া শহর বিএনপির সভাপতি কুতুব উদ্দিন আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক এ কে বিশ্বাস বাবু, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএম ওমর ফারুকসহ দলীয় ২৭ নেতাকর্মীকে আটক করে।
এরপর ওই নির্বাচনী কার্যালয় প্রায় এক ঘণ্টা ঘেরাও রেখে তল্লাশির পর পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পুলিশের অভিযান চলাকালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার তার কার্যালয়ের একটি কক্ষে অবরুদ্ধ ছিলেন।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের আটক করা হয়েছে। তবে যাচাইয়ে অভিযোগ পাওয়া না গেলে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আটককৃদের থানা হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল।
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার সাংবাদিকদের কাছে দাবি করে বলেন, সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা আমার নির্বাচনী কার্যালয়ে প্রবেশ করে হুমকি প্রদান ও কয়েকজন কর্মীকে মারধর করে।
এ ঘটনার পরপরই পুলিশ তার কার্যালয় থেকে শহর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ দলীয় ২৭ জন নেতাকর্মীকে আটক করে নিয়ে যায়। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।