মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে সরাসরি বাস চলাচল।ফলে ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে যাত্রীরা। বিশেষ করে হাসপাতালগামী রোগী ও নারী যাত্রীদের কষ্টের সীমা নেই। কুষ্টিয়া জেলার অংশে সড়ক বেহাল হওয়ার কারণে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে মিরপুর উপজেলার ভাঙ্গা বটতলা থেকে খলিশাকুন্ডি পর্যন্ত সড়কের বেহালদশায় এই সড়কে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই কোন না কোন দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেই থাকে।
জানা গেছে, দেশের দ¶িণ-পশ্চিমের জেলা মেহেরপুর থেকে রাজধানী ও উত্তরবঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক। মেহেরপুর-কুষ্টিয়া লোকাল বাসের পাশাপাশি দূরপালার বাসও চলাচল করে। সাধারণ মানুষের সাশ্রয়ী বাহন এই বাস। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ওই সড়কে কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে।
মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে দুই জেলার বাস মালিক সমিতির বাস চলাচল করতো। মেহেরপুর থেকে প্রতি ১০ মিনিট পর পর একটি করে বাস কুষ্টিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায় এবং একটি করে বাস মেহেরপুর পৌঁছায়। ফলে ৬০ কিলোমিটারের দীর্ঘ এই সড়কে যাত্রীরা সহজেই বাস পেতেন।কিন্তু প্রায় এক বছর আগে থেকে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মেহেরপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস ছেড়ে মেহেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী কুষ্টিয়ার খলিশাকুন্ডি বাজারে গিয়ে যাত্রী নামিয়ে দেয়। ওই যাত্রীরা খলিশাকুন্ডি থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বাসে ওঠে। মূলত দুই জেলার মধ্যবর্তী স্থান খলিশাকুন্ডিতে বাস স্টপেজ গড়ে উঠেছে। দুই জেলার মালিক সমিতির বাস সেখান থেকে নিজ নিজ জেলার মধ্যে আলাদাভাবে চলাচল করাচ্ছে।এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ অসহনীয় হয়ে উঠেছে।
খলিশাকুন্ডি লোকাল বাসের সময় নিয়ন্ত্রক (স্টার্টার) আসাদুজ্জামান বাবু বলেন, কুষ্টিয়া থেকে খলিশাকুন্ডি পর্যন্ত দীর্ঘ সড়ক পথ চলাচলের অযোগ্য। দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্ত তৈরি হয়ে আছে। কিন্তু রাস্তা ঠিক না হওয়ায় সরাসরি বাস চলাচল করছে না। যাত্রী দুর্ভোগে নেতাদের প্রতি ব্যাপক ¶োভ প্রকাশ করেন তিনি।