চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে দালালি করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়লো চাঁদনী খাতুন নামের এক দালাল। গতকাল বুধবার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। চাঁদনী খাতুন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বুজরুকগড়গড়ি বনানীপাড়ার মৃত আবুল হোসেনের মেয়ে। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যায় আলমডাঙ্গার আসমানখালী শালিকা গ্রামের আব্দুল্লাহর স্ত্রী সুফিয়া খাতুন (৫০)। তার পায়ে চোট লাগার কারণে হাসপাতালের ১০৮নং কক্ষে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হারুন অর রশিদ পলাশের নিকট যান তিনি। চিকিৎসক আঘাতের স্থানে এক্সরে করার জন্য বলেন। এসময় সেখানে রোগীদের সিরিয়াল নিয়ন্ত্রণ করছিলো চাঁদনী খাতুন।
সুফিয়া খাতুনের ছেলে লাভলু অভিযোগ করে বলেন, আমার মাকে নিয়ে এক্সরে করতে যাওয়ার সময় চাঁদনী খাতুন বলেন, হাসপাতালের এক্সরে মেশিন ভালো না। এখানে এক্সরে করলে ঝাপসা হয়। বাইরে আমার পরিচিত একজন আছে সেখান থেকে এক্সরে করালে ভালো হবে, টাকাও কম নেবে। এই বলে চাঁদনী একজনকে ডাকে এবং তার সাথে যেতে বলে। এসময় লাভলু বিষয়টি বুঝতে পেরে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.শামীম কবীরের নিকট অভিযোগ করেন। ডা.শামীম কবীর খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা পায়।
এসময় সেখানে চলছিলো ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াশীমুল বারী ভ্রাম্যমাণ আদালতে চাঁদনী খাতুনকে ২শ’ টাকা জরিমানা আদায় করে এবং শুধুমাত্র চিকিৎসা নেয়া ছাড়া হাসপাতালে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন চাঁদনী খাতুনের ওপর।