ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের এক ছাত্রী বন্ধুর দ্বারা শরীরিক লাঞ্ছিত হয়েছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমানের কাছে সুবিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছে।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের নীচ তলায় প্রকাশ্যে ওই ছাত্রীকে নিজ বিভাগের এক বন্ধু তাকে থাপ্পড় মারে বলে জানা গেছে। ওই ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানা গেছে।
ছাত্রীর ভাষ্যমতে, আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র মাহমুদুল্লাহ নিজ বিভাগের বান্ধবী রাবেয়া সুলতানাকে প্রথম বর্ষ থেকেই প্রেম নিবেদন করে আসছে। পরে তাদের মধ্যে একটি সুসম্পর্ক তৈরী হলেও ওই ছাত্র বিভিন্ন সময় তাকে মাত্রাতিরিক্ত মানসিক নির্যাতন করত। সম্প্রতি ওই ছাত্রীকে ফোনে ফের প্রেম নিবেদন করলে মাহমুদকে সে ফোনে গালাগালি করে। পরে আজ বুধবার ওই ছাত্রী বিভাগে ক্লাস করতে আসলে অনুষদ ভবনের নীচ তলায় তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে ওই ছাত্র। পরে ওই ছাত্রী তার বন্ধুর বিরুদ্ধে প্রক্টর বরাবর সুবিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করে।
রাবেয়া বলেন, ‘প্রথমে যা কিছু হয়েছে তা কথাবার্তায় সীমাবদ্ধ থাকলেও আমাকে থাপ্পর মারায় বিষয়টি কোনভাবে মেনে নিতে পারিনি। আমি ওর কঠোর শাস্তি দাবি করছি।’
মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে রাবেয়া একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে মিসকল দেয়। পরে আমি কল ব্যাক করে ফোন দেবার কারণ জানতে চাইলে আমার জন্ম নিয়ে খুব বাজে কথা বলে। সকালে ওর সাথে দেখা হলে এর কারণ জানতে চেয়ে ওর সামনে দাড়িয়েছিলাম। সে আমাকে ধাক্কা মেরে চলে যেতে চাইলে তাকে থাপ্পড় দেই। তবে বিষয়টি আমার ভুল ছিল।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে এটিকে আমি গর্হিত অপরাধ বলে মনে করছি। যতদ্রুত সম্ভব কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।