কুষ্টিয়া শহর ঘেষা গড়াই নদীর উপর নির্মিত কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতুর হরিপুর অংশের পশ্চিম পাশর্^স্ত নদীর বাম তীর ভাঙ্গনে পাড় রক্ষা বাঁধের ১শ মিটার তলিয়ে গেছে। এতে সেতু রক্ষা বাঁধ নিয়ে চরম সংশয়ে স্থানীয়রা। আতংক ছড়িয়ে পড়েছে তাদের মধ্যে। অগত্যা আতংক প্রশমনে নিজেদের মতো করে গাছের ডালপালা ও বালি ভর্তি ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন ঠেকানো ক্ষুদ্র চেষ্টা তারা করছে। তবুও আতংক কাটছে না স্থানীয়দের। শনিবার বিকেল পর্যন্ত সর্বশেষ দেখা যায় স্থানীয়রা পাড় রক্ষা বাঁধ ঠেকানোর চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য গত বৃহষ্পতিবার কুষ্টিয়া সদর উপজেলা প্রশাসনের সামাজিক উন্নয়ন সংক্রাস্ত আপদকালীন সংস্কার খাত থেকে কুষ্টিয়া-হরিপুর শেখ রাসেল সেতুর পশ্চিম পাশের ক্ষতিগ্রস্ত গড়াই নদীর তীর রক্ষা বাঁধে বালিভর্তি বস্তা ফেলে ভাঙ্গন ঠেকানোর চেষ্টায় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিলো, ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে কিছু বালিভর্তি ব্যাগ ফেলানো হয়। কিন্তু ঐদিনই বিকেল থেকে শনিবার সকাল পযর্ন্ত পাড় ভাঙ্গন অব্যহত থাকায় ভাঙ্গন কবলিত তীর রক্ষা বাধের পশ্চিমাংশের ১০০ মিটারের প্রায় পুরোটাই তীব্র স্রোতে পানিতে তলিয়ে গেছে।
স্থানীয় এলাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ৩১তারিখ সন্ধায় হঠাৎ গড়ই নদীর প্রবল স্রতের তোড়ে সৃষ্ট ভয়াবহ নদী ভাঙ্গনে কুষ্টিয়া-হরিপুর শেখ রাসেল সেতু হুমকির মুখে পড়ে। ঐদিনের সৃষ্ট ভাঙ্গনে রাত ৯টা পর্যন্ত এই সেতুর হরিপুর অংশের পশ্চিম প্রান্তীয় প্রটেকশন ওয়ার্কের সম্মুখ থেকে ভেঙ্গে প্রায় ১শ মিটার ব্যাসার্ধে পাড় ভেঙ্গে ঢুকে প্রটেকশন ওয়ার্কের প্রায় ৩০মিটার নদীতে তলিয়ে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ আগে থেকেই ঐ স্থানটি ঝুঁকিপূর্ন হয়েছিলো। বিষয়টি বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ার কর্মকর্তাদের নজরে নিয়ে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছিলো। কিন্তু তারা কোন প্রকার উদ্যোগ গ্রহন না করায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অবিলম্বে এই ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছিলো এলাকাবাসী এবং ঐ এলাকায় ঘুরতে যাওয়া ভ্রমনকারীরা।
এবিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ বলছেন, এখন নদী ভাঙ্গনের মুখে ঝুকিতে পড়লেও মূল সেতু নির্মাণ প্রকল্প সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পর থেকে আমাদের আর কিছু করার নেই। নদীর পাড় ভাঙ্গনের ঝুকিতে এমন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা জায়িয়ে গত ১৬ ফেব্রুয়ারী পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়াকে পত্র প্রেরণ করা হয়েছিলো যাতে করে সেতুটি ঝুকিমুক্ত রাখা যায়। বিষয়টি এখন দেখার দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ডের।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান জানান, ব্রীজের প্রটেকটিভ এরিয়ায় ভাঙ্গন দেখা দেয়ায় সেখানে স্থায়ী সমাধানে ডিপিপি প্রেরণ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলেই এর সমাধান করা হবে।