আলমডাঙ্গা সরকারী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম সরোয়ার মিঠুকে কতিপয় ছাত্র কর্তৃক লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মানব বন্ধন, স্মারকলীপি প্রদান ও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
আলমডাঙ্গা সরকারী কলেজের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জানিয়েছে, গতকাল শনিবার সকাল সোয়া ১০টায় কতিপয় ছাত্র রকি, হাসান, অটল, সজিব, ও টিটন অধ্যক্ষের অফিসে প্রবেশ করে। উপবৃত্তির টাকা ও ফরম পূরণের ব্যাপারে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম সরোয়ার মিঠুকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনায় ফুঁসে ওঠে শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা এই লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে প্রথমে কলেজ প্রাঙ্গণে, পরে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের সামনে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন প্রভাষক তাপস রশীদ, সহকারী অধ্যাপক আব্দুল মোনায়েম, আলম হোসেন, সৈয়দ আল মামুন রেজা, মহিদুর রহমান, জেসমিন আরা, ডঃ মাহাবুবুর রহমান, প্রভাষক লুৎফুন নাহার, মাকছুদুর রহমান, সাইদুর রহমান লিটন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। শেষে হামলাকারী ৫জন শিক্ষার্থীকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাহাত মান্নানের নিকট স্মারকলীপি প্রদান করা হয়।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের উপর যার এই নগ্ন হামলা করে লাঞ্ছিত করেছে তারা যে দলেরই হোক তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্মারকলীপি প্রদান শেষে শিক্ষকবৃন্দ থানায় আসেন এবং কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম সরোয়ার মিঠু বাদী হয়ে ৫জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছে। অধ্যক্ষ আরো জানান বিষয়টি জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপির সাথে আলাপ করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, দোষী যেই হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। থানা থেকে ফিরে কলেজে শিক্ষক সমিতির এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কলেজের বর্তমান ছাত্র রকি ও টিটনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এ সময় নেতৃবৃন্দ আরো বলেন রকি, হাসান, অটল ও টিনকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
সভায় এ ঘটনায় জড়িত ২জন ছাত্রকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে বলে জানান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম।