নিউ ইয়ার্ক প্রতিনিধি মুনসী মোঃ সাজেদুর রহমান টেনটু
জাতিসংঘের ৭৩তম সাধারণ অধিবেশন শুরু হচ্ছে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে নিউইয়র্কে আসছেন বিশ্ব নেতৃবৃন্দ। তারা বিভিন্ন অধিবেশনের বিভিন্ন সেশনে যোগ দিবেন। সেই সঙ্গে অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের অনেকের মধ্যেই বৈঠক হতে পারে।
এদিকে জাতিসংঘ থেকে ৭৩তম সাধারণ অধিবেশনের হাইলেভেল মিটিংস অব দ্য ৭৩তম অধিবেশন ইতোমধ্যে ঘোষনা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ৭৩ সাধারণ অধিবেশনের অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে ১৮ সেপ্টেম্বর। ২৪ সেপ্টম্বর অনুষ্ঠিত হবে নেলসন ম্যান্ডেলা পিচ সামিট, ফাইন্যান্সিং দ্য ২০৩০ এজন্ডা ফর সাসটেন্যাবল ডেভলপমেন্ট। এটি কনভেনডেড বাই দ্য সেক্রেটারী জেনারেল, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে অ্যানুয়াল জেনারেল ডিবেট। ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে অ্যাকসন ফর পিচকিপিং, ২৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে দ্য ফ্লাইট টু এন্ড টিউবারকিউলোসিস এটি কনভেন্ড বাই দ্য প্রেসিডেন্ট অফ দ্য জেনারেল এসেম্বলী। ২৭ সেপ্টেম্বর কনভেন্ড বাই দ্য প্রেসিডেন্ট অব দ্য জেনারেল অ্যাসেম্বলী কমপ্রিহেনসিভ রিভিউ অব দ্য প্রিভেনশন এ্যান্ড কন্ট্রোল অব নন-কমিউনিকেবল ডিসিস বিষয় আলোচনা।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে যোগ দিতে নিউইয়র্কে আসছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও বৈঠকে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আসছেন কিনা তা এখনও বলা যাচ্ছে না। তবে তারা সবাই আসলে বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে। বৈঠক হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিবেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হতে পারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। যদিও অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে মার্কিন সরকারের কুটনীতিক সম্পর্ক খুব ভাল যাচ্ছে না। এর আগে ঢাকায় দায়িত্বরত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনাকে নিয়ে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীরা তাকে হার্ট করে নানা কথা বলেছেন। বর্তমানে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসাবে রয়েছেন মার্শা বার্নিকাট। তিনি অত্যন্ত সফলভাবে তার ঢাকায় কাজ সম্পন্ন করেছেন। তিনি তার মেয়াদকালের শেষ দিকে সুজনের সাধারণ সম্পাদকের বাসায় দাওয়াতে গিয়েছিলেন। তার গাড়ি বহরের উপর হামলা হয়। পরে এটা সরকারি দলের লোকেরা করেছে বলেও খবর পাওয়া যায়। এই অবস্থায় বিভিন্ন কারণে মার্কিন সরকারের সঙ্গে শেখ হাসিনার দূরত্ব ক্রমশ বাড়ছে। এই দূরত্ব কমানোর জন্য বিশেষ কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। যদিও সরকারের নীতি হচ্ছে আন্তর্জাতিক মহলের কোন দেশের কথা অনুযায়ী কাজ না করা। বন্ধুত্ব রক্ষা, বাণিজ্য সম্পর্ক ও পারস্পারিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য যা যা করা দরকার তা করা। বাংলাদেশের রাজনৈতিক কোন বিষয়ে কোন হস্তক্ষেপ সহ্য করবে না। এই কারণে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে বিভিন্ন সময়ে মতামত দিলেও বাংলাদেশ তাতে গুরুত্ব দেয়নি। ফলে সম্পর্কের টানা পোড়েন রয়েই গেছে।