আলমডাঙ্গায় পুলিশের বিরুদ্ধে এক স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত ও ভয়ভীতি দেখিয়ে দেহভোগের অভিযোগ উঠেছে। মুন্সিগঞ্জ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই আলমগীর এ কা- ঘটিয়েছেন বলে ৯ম শ্রেণীর এক ছাত্রী অভিযোগ করেছে।
সে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করেছে। তবে অভিযুক্ত এসআই আলমগীর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এটা এক তরফা প্রেম।
আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশের আইসি এসআই আলমগীরের বিরুদ্ধে এক স্কুলছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে দৈহিক মেলামেশার উভিযোগ।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, মুন্সিগঞ্জ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই আলমগীর প্রায় ৯ মাস আগে থেকে বিভিন্নভাবে এক স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ক্যাম্পে নিয়ে তার দেহভোগ করেন তিনি। বিষয়টি যাতে কেউ না জানতে পারে এ জন্য স্কুলছাত্রীকে বার বার ভয়ভীতি দেখান তিনি। পরবর্তীতে বিয়েতে অস্বীকার করলে বিগড়ে যায় ওই স্কুলছাত্রী।
সে জানায়, ‘আমি চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগপত্র পাঠিয়েছি। তাতে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এসআই আলমগীরের বিচার দাবি করেছি।’
সে আরও জানায়, ‘আমরা গরিব, তাই সুযোগ নিয়ে আমার সঙ্গে এই প্রতারণা করার সুযোগ পেয়েছেন এসআই আলমগীর। আমি তার বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে স্কুলছাত্রীর পিতা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’
অভিযুক্ত এসআই আলমগীর বলেন, ‘আমি সোমবার মুন্সিগঞ্জ ক্যাম্প থেকে বদলি হয়ে একই উপজেলার পাইকপাড়ায় জয়েন্ট করেছি। অভিযোগকারী স্কুলছাত্রীর মস্তিষ্কবিকৃত। সে যা বলছে সব মিথ্যা। সে একতরফা আমাকে ভালোবাসে বলে প্রলাপ বকছে। তার সব অভিযোগ বানোয়াট।’
এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানার ওসি আবু জিহাদ খান বলেন, ‘আমরা লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ করতে হলে থানায় এসে করতে হবে। তারপরেও আমরা তদন্ত করে দেখছি। যদি ঘটনা সত্যি হয় তাহলে এসআই আলমগীরকে ছাড় দেয়া হবে না।’