আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে ১৪ দলীয় জোটের একক প্রার্থী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, বর্তমান সরকারের তথ্যমন্ত্রী ও এমপি হাসানুল হক ইনু। এদিকে ২০ দলীয় জোটের একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে।
নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন ১৪ দলীয় জোটের একক প্রার্থী তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি।
এদিকে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক দল জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য, এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আহসান হাবিব লিংকন মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন। বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধের সময় দক্ষিণ-পশ্চিম জোনাল কাউন্সিলরের চেয়ারম্যান ও এই আসনে তিনবার নির্বাচিত এমপি মরহুম আবদুর রউফ চৌধুরীর ছেলে ও তিনবারের জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি’র সদস্য ও ঢাকা মহানগর মহিলা দলের তিনবারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন। জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন মিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, আমলা ইউপি’র তিনবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা আবদুল গফুর।
এ আসনে ১৯৭০ সালে পাকিস্তান শাসনামলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আবদুর রউফ চৌধুরী বিজয়ী হন। ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবদুর রউফ চৌধুরী জয়ী হন। ১৯৭৮ সালে সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আবদুল হক ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে বিজয়ী হন। ১৯৮৬ সালে এরশাদের শাসনামলে জামায়াতের আবদুল ওয়াহেদ বিজয়ী হন। ১৯৮৮ সালে এরশাদের শাসনামলে আহসান হাবীব লিংকন লাঙ্গল প্রতীকে জয়ী হন। ১৯৭০ ও ১৯৭৩ সালের বিজয়ী আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য রউফ চৌধুরী বিএনপিতে যোগদান করে ১৯৯১ সালে আবারও বিজয়ী হন। আর ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে পর পর দুইবার বিএনপি প্রার্থী অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালেও মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন হাসানুল হক ইনু।
এদিকে জোটের স্বার্থে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আসনটি মাহবুব উল আলম হানিফকে ছেড়ে দিতে হয় নৌকা প্রতীকে প্রথমবারের মতো এমপি হাসানুল হক ইনুকে। তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে হাসানুল হক ইনুর অবস্থান প্রায় নিশ্চিত বলে জানা গেছে।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি বলেন, নয় বছর এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। তার মধ্যে ভেড়ামারায় আমদানিকৃত ৫শ+৫শ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ কেন্দ্র, ৪১০ ও ১১০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ কেন্দ্র, ভেড়ামারা ও মিরপুর উপজেলা পরিষদের চারতলা ভবন, দুই উপজেলার প্রতিটি স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজে নতুন ভবন, ভেড়ামারা ও মিরপুর থানায় নতুন ভবন, মিরপুর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ, দুই উপজেলায় শত শত কোটি টাকার রাস্তা নির্মাণ আর ভেড়ামারায় ইপিজেটের কাজ চলছে।
২০ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) কেন্দ্রীয় নেতা আহসান হাবিব লিংকন বলেন, এমপি থাকাকালীন মিরপুর ও ভেড়ামারায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। ২০ দলীয় জোট আমাকে মনোনয়ন দেবে বলে হাই কমান্ড সূত্রে জেনেছি।
সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি প্রার্থী অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধা, সংসদ সদস্য থাকাকালে এলাকায় সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন করেছি।