খুলনার বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের বিএনসিসি শিক্ষার্থীরা। যানজট নিরসনসহ যানবাহনের কাগজ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় তারা ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে কাজ করছেন।
সারাদেশের মতো খুলনাতেও চলছে ট্রাফিক সপ্তাহ। এতে মোটরযান আইনে মামলার পরিমাণ বেড়েছে। তবে আসছে না কোন গাড়ি ছাড়ানোর জন্য তদবির।
সরেজমিনে নগরীর শিববাড়ি মোড়ে সকাল থেকে দেখা যায় এসব চিত্র। সাধারণ পথচারী ও গাড়ির চালকরাও এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে।
সকাল থেকে অর্ধশতাধিক মামলা ও রেজিস্ট্রেশন না থাকায় ৮/১০টি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। ট্রাফিকদের সাথে রাস্তায় সহায়তাকারী শিক্ষার্থীরা খুলনার খানজাহান আলী আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের ইন্টার দ্বিতীয় বর্ষের পাঁচজন (বিএনসিসি’র) শিক্ষার্থী। তারা হলেন ক্যাডেট সুমি, ক্যাডেট সোহান, ক্যাডেট সোনিয়া, ক্যাডেট তাহের ও ক্যাডেট তাহের।
কেএমপি’র সার্জেন্ট আশরাফুল ইবনে আকবর বলেন, শিক্ষার্থীরা আমাদের কাজে সহযোগিতা করছে এটা খুবই আনন্দ লাগছে। তাছাড়া বিভিন্ন যানবাহন সিগন্যাল দিলে নানা পরিচয়ে তদবির আসে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সাথে থাকায় তা করতে পারছে না। এটা আমাদের কাজের জন্য অনেক ভালো হয়েছে।
ট্রাফিক সপ্তাহ ২০১৮ এর অংশ হিসেবে সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ খুলনার শিববাড়ি মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের এ অভিযানে ৩৫টির মতো মামলা হয়েছে। মোটরযান আইন লঙ্ঘনের কারণে এ মামলা গুলো হয়েছে বলে জানান তিনি। রাস্তায় যানজট নিরসনে সহায়তাকারী শিক্ষার্থীরা বলল, প্রচন্ড রোদে একটু কষ্ট হচ্ছে। তবে দেশের জন্য কাজ করছি, এতেই আমরা খুশি ও আনন্দিত।