তফসিলি ব্যাংকগুলোতে ঋণের সুদহার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একইভাবে আমানতের সুদহার সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যা আগামী ৯ আগস্ট থেকে সব সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক মানতে বাধ্য বলে জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
বৃহস্পতিবার (২ আগষ্ট) শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে দেশের ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) সঙ্গে বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমানতের সুদহার ৬ শতাংশ এবং ঋণে সুদহার ৯ শতাংশ কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে এটা আগামী ৯ আগস্ট থেকে সব ব্যাংককে কার্যকর করতে হবে। তবে কনজুমার লোন ও ক্রেডিট কার্ড লোনের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না।
এমএ মুহিত বলেন, ইতোমধ্যে দেশের প্রায় অর্ধেক ব্যাংক আমানতের সুদহার ৬ শতাংশ এবং ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ কার্যকর করেছে। আজ সব ব্যাংককের চেয়ারম্যান ও এমডিরা আগামী ৯ আগস্টের মধ্যে এগুলো বাস্তবায়ন করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, তাদের তো সুবিধা দেয়া হয়েছে। সরকারি আমানতের ৫০ শতাংশ বেসরকারি ব্যাংকে রাখার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ব্যাংকিং খাতে কোনও তারল্য সংকট নেই।
সরকারের পক্ষ থেকে কয়েকদফা ছাড় দেয়ার পর গত ২০ জুন এক বৈঠক থেকে ঋণের সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার ঘোষণা দেয় বেসরকারি ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)। ব্যাংক মালিকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১ জুলাই থেকে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদে ঋণ এবং ছয় শতাংশ সুদে তিন মাস মেয়াদি আমানত নেয়া হবে।
সুদহার কমানোর বিষয়ে এর আগে গত ২৭ জুন বৈঠকে বসেন ব্যাংকের এমডিরা।
কিন্তু এ ধরনের ঘোষণা দেয়ার পরও সব ব্যাংক এ নির্দেশনা এখনও পরিপালন করেনি।