কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানায় নিজ হেফাজতে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল রাখার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় স্বামী-স্ত্রীকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী এক জনাকীর্ণ আদালতে আসামীর অনুপস্থিতিতে এই রায় ঘোষনা করেন। সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীরা হলেন-ভেড়ামারা উপজেলার ষোলদাগ গ্রামের পশ্চিমপাড়ার জামিরুল মালিথা ওরফে রাজুর স্ত্রী মোছাঃ রওশন আরা ও একই গ্রামের তোজাম্মেল মালিথার ছেলে জামিরুল মালিথা ওরফে রাজু।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২০১৭ সালের ৬ নভেম্বর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি), ভেড়ামারা মোঃ রাসেল মিয়ার নেতৃত্বে গঠিত টাস্কফোর্স নিয়ে ভেড়ামারা থানাধীন ষোলদাগ পশ্চিমপাড়া এলাকায় যান এবং আসামী মোছাঃ রওশন আরা ও মোঃ জামিরুল মালিথার বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে বসতঘর থেকে ১১৭ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার কওে এবং আসামী মোছাঃ রওশন আরাকে গ্রেফতার করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত এলাকাবাসী সকলেই জানায় আসামী মোছাঃ রওশন আরা ও তার স্বামী মোঃ জামিরুল মালিথা এলাকার পেশাগত ফেনসিডিল ব্যবসায়ী।
আসামীদের বিরুদ্ধে ভেড়ামারা থানায় ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১), ৯(খ) ও ২৫ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং-২, তারিখ-৬-১১-১৭ইং। পরে পুলিশ আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্শীট দাখিল করলে সেসন ৪৬২/১৮ নং মামলায় নথিভূক্ত হয়ে বিচার কাজ শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষের একাধিক স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতিতভাবে প্রমানীত হওয়ায় আদালত আসামীদের প্রত্যেককে ৭ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ের আরো ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের এই রায় প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী এবং আসামী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এ্যাড. আব্দুল মজিদ।