নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মাকড়াইল গ্রামের ছালাম মোল্যার ছেলে পলাশকে অপহরণের ১৫ দিন পর তার লাশ পাওয়া গেছে। পুলিশ অপহরণের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে ।
সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার মাকড়াইল গ্রামের সালাম মোল্যার ছেলে পলাশ মোল্যা (২৩) কে গত ২৩ জুন প্রতিবেশী খায়ের মোল্যার ছেলে আনারুল মোল্যা ও আড়পাড়া গ্রামের আকুব্বরের ছেলে নাজমুলসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জন প্রলোভন দিয়ে কৌশলে অপহরণ করে। পলাশ বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন অনেক খোজাখুঁজি করতে থাকে। না পেয়ে গত ৩০ জুন লোহাগড়া থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। পলাশের ভাই আহাদ মোল্যা ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আনারুলকে প্রধান আসামি করে গত ৯ জুলাই লোহাগড়া থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মিল্টন কুমার দেবদাস সংগীয় এএসআই শিকদার হাসিবুর রহমান অভিযান চালিয়ে আনারুলকে মানিকগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
১০ জুলাই নড়াইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন বড়ালের আদালতে ১৬৪ ধারায় আনারুলের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেন। তার তথ্য মতে জানা গেছে, ইজিবাইক কেনার টাকার জন্য পলাশকে গত ২৩ জুন সকালে তার নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে অপহরণ করে এবং ওইদিন রাত ১০ টার দিকে মাগুরা জেলার আমুড়িয়া কলেজ মাঠপাড়া এলাকায় তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পাশের পাট ক্ষেতে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। ঘটনার তিন দিন পর এলাকাবাসী অজ্ঞাত লাশ দেখতে পেয়ে মাগুরা সদর থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে বেওয়ারিশভাবে আঞ্জুমান মফিদুলের মাধ্যমে গত ২৭ জুন মাগুরা পৌর কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করেন ।
পলাশের বৃদ্ধ পিতা ও মাতা কান্না জড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, ছেলের লাশটি শেষবারের মতো একবার দেখে স্থানীয় গোরস্থানে দাফন করে আমরা মরতে চাই।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ প্রবীর কুমার বিশ্বাস বলেন, পলাশ হত্যার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক পুলিশ নিহতের সন্ধান পেয়েছে। আদালতের মাধ্যমে লাশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।