সাড়ে তিন বছর আগে নিয়োগ পেলেও কখনো মাদ্রাসায় ওই শিক্ষাকাকে দেখেনি ছাত্রীও শিক্ষকরা!
কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার কুশলীবাসা বিবি আছিয়া খাতুন বালিকা আলিম মাদ্রাসায় ২০১৫ সালের নভেম্বরে নিয়োগ পান সহকারী শিক্ষিকা শিরিনা আক্তার। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ছাত্রী বা সহকারী শিক্ষকরা মাদ্রাসায় দেখেনি শিরিনা আক্তার কে। তবে হাজিরা খাতায় ঠিকই স্বাক্ষর করে যাচ্ছেন শিরিনা আক্তার।
জানা যায়, বিবি আছিয়া খাতুন বালিকা আলিম মাদ্রাসার এবতেদায়ী প্রধান নিয়োগ দিতে গিয়ে ৩০% কোঠা পুরো না থাকায় নিয়োগ বন্ধ হয়ে যায়। তখন প্রিন্সিপাল আবুল কাশেম ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শাহ মোঃ রফিকুল ইসলাম মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে থানা শিক্ষা অফিসারকে ম্যানেজ করে শিরিনা আক্তারকে ২০১৫ সালের ব্যাকডেটেড কাগজ পত্র দাখিল করে শিরিনা আক্তারকে নিয়োগ দেয়। এর পর এবতেদায়ী প্রধান সরকারি ভাবে নিয়োগ দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
এ বিষয় দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন প্রিন্সিপাল, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও অবৈধ পন্থায় নিয়োগ পাওয়া শিরিনা আক্তার। এদিকে শিরীনা আক্তার কোন দিন স্কুলে ক্লাস নিতে আসেনি বলে একাধিক শিক্ষক জানান। মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আবুল কাশেম ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শাহ মোঃ রফিকুল ইসলাম মোটা অংকের টাকা নিয়ে কুমারখালী থানা শিক্ষা অফিসারকে ম্যানেজ করে নিয়োগ বাণিজ্য বৈধ করেছেন বলে একাধিক সূত্র জানা গেছে।
কুশলীবাসা বিবি আছিয়া খাতুন বালিকা আলিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আবুল কাশেমের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি এই নিয়োগের বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না। যা করেছে কুমারখালী থানা শিক্ষা অফিসার। শিরিনা আক্তার কোন দিন স্কুলে আসেনি। পরে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন তিনি।
সেখানে বসে কুমারখালী থানা শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুর রশীদের মুঠোফোনে বিবি আছিয়া খাতুন বালিকা আলিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আবুল কাশেমের বক্তব্য মত সব দুর্নীতি আপনি করেছেন বলা হলে তিনি বলেন, প্রিন্সিপাল কে আমার সামনে নিয়ে আসেন। তখন সাংবাদিক বলেন আমি প্রিন্সিপাল এর সামনে বসে আছি। আপনি ডেকে জিজ্ঞেস করেন। এরপর কুমারখালী থানা শিক্ষা অফিসার ফোন কেটে দিয়ে প্রিন্সিপাল আবুল কাশেমের মুঠোফোনে ফোন দেয়।
বিবি আছিয়া খাতুন বালিকা আলিম মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শাহ মোঃ রফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি শিরিনার কোন ফাইলে স্বাক্ষর করিনি। এবিষয়ে কিছু বলতে পারবো না।
একাধিক ছাত্রীর সাথে কথা বললে তারা শিরিনা আক্তার নামের কোন শিক্ষিকাকে দেখেনি বলে জানান।
এদিকে শিরিনা আক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে তার গ্রামের বাড়ি পান্টি ওয়াসি গ্রামে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। সেসময় শিরিনা আক্তারের বড় ভাই রাসেল বলেন শিরিনা বাড়ি নেই। পড়াশোনার জন্য শিরিনা মাদ্রাসায় যায় না। সে তার বোনের বাড়িতে গেছেন। নিয়োগের বিষয়ে কথা বলতে পারবনা। শিরিনা আক্তারের ফোন নাম্বার দেওয়া যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন।