মফস্বলের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের একটি উজ্বল নাম ছিল রাধারমন কর্মকার ওরফে বাদল স্যার (৬৭)। বাড়ী কুষ্টিয়া মিরপুর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড সুলতানপুর মহল্লায়। পিতার নাম মৃত অনূকুল কর্মকার।
নানা গুনের অনেকের প্রিয় এই গুনি শিক্ষক ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই পাড়ি জমান না ফেরার দেশে।
ছাত্রজীবনে তিনি গল্প কবিতা নাটক লেখার পাশাপাশি নাটকে অভিনয় করতেন। পরবর্তীতে সন্তোষ কুমার দে (সাবেক প্রধান শিক্ষক পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়) ও গৌরচন্দ্র দেবনাথের সাহচার্যে জড়িয়ে পড়েন নাটক ও যাত্রা পরিচালনায়। ‘মর্জিনা এতিমখানা’ নামে তাঁর লেখা নাটক ছাড়াও অর্ধশতাধিক নাটক অত্যন্ত সুনামের সাথে পরিচালনা করেছেন। তাঁর পরিচালিত নাটক ও যাত্রাপালার মধ্যে শুভ বিবাহ,সাগর সেচা মানিক, পথের শেষে, স্বামীর ঘর, কোহিনূর ও সমাজের বলি উল্লেখযোগ্য ।
বাদল কর্মকার ১৯৬৫ সালে উপজেলার মশান প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করেন এবং সেখান থেকে পাহাড়পুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সর্বশেষ মিরপুর সরকারী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সবমিলিয়ে ৪০ বছর শিক্ষকতা করে ২০০৫ সালে অবসর গ্রহন করেন।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অবিবাহিত ছিলেন।
শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি এলাকার সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে সমৃদ্ধ করতে কাজ করে গেছেন। একসময় নাটক যাত্রাপালা এলাকার সব শ্রেনী ও পেশার মানুষের কাছে সুস্থ্য বিনোদনের মাধ্যম হিসাবে পরিগনিত হলেও দিনে দিনেই অশ্লিলতা ও রাজনৈতীক দুর্বৃত্তায়নের প্রসার ঘটায় বিনোদন পিয়াসী মানুষগুলো মুখ ফিরিয়ে নিলেও তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মফস্বলের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে সচল রাখার চেষ্টা চালিয়ে গেছেন।