শুক্রবার (২৪ মে) সকালে কলারোয়া থানার পাশ্ববর্তী সোনালী সুপার মার্কেটের ‘কিডস ক্লাব’ নামের কোচিং সেন্টার থেকে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ২৮ জনকে আটক করা হয়।
আটককৃত পাঁচ হোতা হলেন, কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা থানার পরানখালি গ্রামের মৃত আহসান আলীর ছেলে ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম, সাতক্ষীরার কলারোয়ার ঝাপাঘাটা গ্রমের আব্দুল আজিজের ছেলে জনতা ব্যাংক ম্যানেজার আফতাবুজ্জামান, একই উপজেলা একই গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে শিক্ষক আমিরুল ইসলাম, আশাশুনি উপজেলার চেউটিয়া গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে কৃষি ব্যাংক ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম, একই উপজেলার কাকবাশিয়া গ্রামের রইছ উদ্দীনের ছেলে শিক্ষক তরিকুল ইসলাম।
দুপুর ২টায় সাতক্ষীরা র্যাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সন্মেলনে র্যাব-৬ সাতক্ষীরা সিপিসি কমান্ডার লে. মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে ৭ নারীসহ ২৮ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ধানদিয়া এলাকা থেকে আব্দুল হালিম নামের এই চক্রের আরও এক হোতাকে আটক করা হয়।
আটক আব্দুল হালিম কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা থানার পরানখালি গ্রামের মৃত আহসান আলীর ছেলে। সে ৫১/২ রাজা বাজার, ফার্মগেট ঢাকা থেকে মোবাইলে উত্তরপত্র নিয়ে আসে। আটক অপর দুই হোতারা হলেন, আশাশুনির শেতপুর সরকারি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক তারিখ হোসেন ও জনতা ব্যাংক সেনেরগাতি শাখার ম্যানেজার আফতাবুজ্জামান।
তিনি জানান, ঢাকায় বসে একটি প্রশ্নফাঁসকারী চক্র ১২ লাখ টাকার চুক্তিতে তাদের কাছে মোবাইল ফোনে প্রশ্ন ও তার উত্তর বলে দেবে। এসব প্রশ্ন ও উত্তর ব্ল্যাক বোর্ডে লিখে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া হবে। এজন্য সিন্ডিকেটের হাতে অগ্রিম পাঁচ লাখ টাকা দিতে হয়েছে। বাকি টাকা পরীক্ষা শেষে দেওয়ার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।