নেই কোন শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখার সিষ্টেম, আবার কেউ মানছেনও না
কুষ্টিয়া শহরের পুর্ব মজমপুর এলাকার সাদ্দাম বাজার গলির মসজিদ ঘেষা ফ্ল্যাট বাড়িটি লকডাউন করায় সেখানে লাল পতাকা উড়ছে। এই বাড়িতে একজন চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তিনি সেখানে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। ঐ ফ্লাটের কেউ বাইরে বের হতে পারছেন না।
ঠিক পরের বাড়িটি জেলা সঞ্চয় অফিসের ভাড়াকৃত অফিস। সেখানে আজ কয়েক দিন শত শত মানুষের উপস্থিতি। নেই কোন শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখার সিষ্টেম, আবার কেউ মানছেনও না। এমনি অবস্থায় জেলা সঞ্চয় অফিসে শত শত আমানতকারীর ভিড় থাকায় এলাকার ছোট এই সড়কটি বিপদজনক হয়ে উঠেছে।
এলাকাবাসী যখন করোনা ভাইরাসের কারনে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না এমনকি মসজিদে নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি ছাড়া কেউ সেখানে উপস্থিত হতে পারছেন না সেখানে দিনের বেলায় শত শত নারী-পুরুষের উপস্থিতির কারনে এলাকার মানুষেরা ভীত সন্তস্ত্র ও আতংকিত হয়ে পড়েছেন। বিপুল সংখ্যক মানুষের বসবাস এই এলাকার বাসিন্দারা এখন রীতিমত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
সঞ্চয় অফিসের অধিকাংশ আমানতকারীই বয়োবৃদ্ধ নারী ও পুরুষ। এদের অনেকেই অসুস্থ্য আবার অনেকে ঠিক মত হাটতেও পারেন না। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া অনেক আমানতকারী সেখানে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করছেন। আশে পাশের ভবন গুলোর বাসিন্দারা আতংকে রয়েছেন।পুরো সড়কটি জুড়েই মানুষের ভিড় আর এই ভিড় সামলাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ এখন পর্যন্ত চোখে পড়েনি।
কয়েকজন আমানতকারী জানান, সঞ্চয় অফিসের বেশ কয়েকটি মেয়াদী সঞ্চয়ের টাকা তুলতে মানুষের এই ভিড়। সঞ্চয় অফিস থেকে দুরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হলেও তা অনেকেই মানছেন না। ঘন্টার পর ঘন্টা মানুষ এভাবে রাস্তা বা আশে পাশের গলিতে দাঁড়িয়ে আছে।
সঞ্চয় অফিসের কারোর সাথে যোগাযোগ সম্ভব না হলেও জানা গেছে প্রতি মঙ্গল ও বুধবার আমানতকারীদের বিভিন্ন মেয়াদী আমানতের লভ্যাংশের চেক প্রদান করা হচ্ছে। আর এই অফিসের জনবল কম থাকায় কাজে বিলম্ব হওয়ায় আমানতকারীরা যেমন ভুক্তভোগী হচ্ছেন আবার এলাকাবাসীও করোনা আতংকে ঝুঁকিতে আছেন।