যেকোন উপায়ে এবং যে পদক্ষেপ নিলে কুষ্টিয়ায় করোনা সংক্রমণরোধ করা যায় সেগুলো যেন দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয়।
কানাডা থেকে জুম কানেক্ট হয়ে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় হানিফ
কুষ্টিয়ায় গত দুই সপ্তাহে অন্তত ২৫০ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন অন্তত ৬জন। দ্রুত সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। গতকাল সোমবার সকালে কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে এক জরুরি মতবিনিময় সভা করেন।
কানাডা থেকে তিনি জুম কানেক্ট হয়ে এ মতবিনিময় সভা করেন। তিনি জানান, যেকোন উপায়ে এবং যে পদক্ষেপ নিলে জেলা করোনা সংক্রমণরোধ করা যায় সেগুলো যেন দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয়। এজন্য যাবতীয় সহযোগিতা করা হবে।
সভায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে তত্বাবধায়ক নুরুন্নাহার বেগ, আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার, জেষ্ঠ্য মেডিসিন কর্মকর্তা এ এস এম মুসা কবির, সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ থেকে অধ্যক্ষ আশরাফ উল হক এবং কুষ্টিয়া শহরের বাড়ি থেকে বিএমএর জেলা সভাপতি ও মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এসএম মুসতানজীদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান যুক্ত হন।
সকাল সাড়ে নয়টায় সভা শুরু হয়ে দেড় ঘন্টাব্যাপী চলে। বেলা এগারটায় শেষ হয়। সভায় সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ঈদের আগের দুইদিন জেলা শহরে এক টানা ৪৮ ঘন্টা সকল মার্কেট খোলা ছিল। সেসময় ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার মানুষ কেনাকাটা করতে এসে সংক্রমণকে ছড়িয়ে দেয়। যার মাশুল এখন দিতে হচ্ছে।
আলোচনায়, কুষ্টিয়া ও ভেড়ামারা পৌরসভায় সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে। রেডজোন এলাকা হওয়ায় এসব জায়গায় কিভাবে লকডাউন সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা সে ব্যাপারে কঠোর হবার নির্দেশ দেন সদর সাংসদ মাহবুবউল আলম হানিফ।
উপজেলা ভিত্তিক আক্রান্ত কোভিড রোগীদের জেলা হাসপাতালে না নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সঠিক সেবা দেবার জন্য সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দেন। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ১০ বেডের কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ দেন। একই সাথে সেখানে আইসিইউ চালুর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে মন্ত্রনালয়ের সাথে যোগাযোগ চলছে বলে জানান।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে কোনভাবেই যেন অক্সিজেনের ঘাটতি না হয় সেই দিকে নজর দিতে বলেছেন। হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্সরা আক্রান্ত হলে তাদের চিকিৎসার যেন বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
মাহবুব উল আলম হানিফ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি। তিনি করোনাকালে চারবার কুষ্টিয়ায় এসেছিলেন। চারবারই হাসপাতালে গিয়ে তিনি চিকিৎসক ও নার্সদের সাথে দীর্ঘ বৈঠক করেছিলেন। জেলায় এ পর্যন্ত কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে ৫৯৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ২০৬ জন। মারা গেছেন ৯ জন।