বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইতিহাসে যার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে তিনি আর কেউ নন আমাদের সকলের প্রিয় খেলোয়ার “মাশরাফি বিন মুর্তজা” আজ তিনি শুধু ক্রিকেটার নন, ক্রিকেট অঙ্গন পেরিয়ে আজ তিনি জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এই নড়াইল এক্সপ্রেস!
সম্প্রতি সময়ে তিনি হঠাৎ করে সাধারণ রোগী সেজে সরকারি হাসপাতালে যান, গিয়ে তিনি দেখেন ডাক্তার অনুপস্থিত, ৭৩ জন নার্স কর্মরত থাকলেও উপস্থিত ছিলেন মাত্র দুইজন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এই বিষয়টি।
আমার প্রশ্নটা হল এটা কি নিজের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য??? নাকি সত্যিকার অর্থে জনগণ তার কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে কিনা তা যাচাই করার জন্য???
যদি জনগণের জন্য হয়ে থাকে তাহলে বলবো গোড়া থেকে সমস্যা সমাধান করতে হবে নইলে এই সমস্যা সমাধান হবে বলে আমার মনে হয় না, কারণ দুদক যখন থেকে পর্যবেক্ষণ করছে তারপর থেকেই এটা ক্রমাগতভাবে একই বিষয়টি দৃশ্যমান হচ্ছে যে ডাক্তার অনুপস্থিত কিন্তু কেন এর সমাধান সরকারের যারা স্বাস্থ্য বিভাগ দেখাশোনা করেন তাদেরকে নিয়ে স্থায়ী সমাধান করতে হবে।
একটি হাসপাতালে ৭৩ জন নার্স নিয়োগ দিয়েছে সরকার ভালো কথা, নার্সের কাজ কি ডাক্তারের সাজেশন মোতাবেক রোগীর সেবা করা যেখানে ডাক্তার অনুপস্থিত বা ডাক্তারের সংখ্যা কম সেই খানে ৭৩ জন নার্স কি করে ওই হাসপাতালে, আমি নার্স এর বিরুদ্ধে বলছি না তারা অনেক পরিশ্রম করে রোগীকে সেবা দান এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। “ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের” (WHO) পরিসংখ্যান অনুযায়ী একজন ডাক্তারের বিপরীতে তিন জন নার্স এবং পাঁচজন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট থাকার কথা তাহলে ওই হাসপাতালে ৭৩ জন নার্স এর বিপরীতে কতজন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট থাকার কথা এবং কতজন কর্মরত আছে প্রশ্ন রইল মাননীয় এমপি সাহেবের কাছে???
সত্যিকার অর্থে যদি মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে চান তাহলে সবার আগে জরুরী রোগ নির্ণয় করে সেবা প্রদান করা তবেই মানুষ কাঙ্ক্ষিত সেবা পাবে নইলে সেবা পেতে পারে কিন্তু সেটা পরিপূর্ণ সেবা হবে না। একটি বেসরকারি ক্লিনিক বা ডায়গোনস্টিক সেন্টারে মানুষ হাজার হাজার টাকা খরচ করে যায় সঠিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য। তাহলে এই সেবা টুকু কেন সরকারি হাসপাতালে পাচ্ছে না কখনো কি ভেবে দেখেছেন???
বিগত এক দশকে কোন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট সরকারি ভাবে নিয়োগ পায় নি দুদকের রিপোর্ট অনুযায়ী হাজার হাজার কোটি টাকার ইন্সট্রুমেন্ট কেনা হয়েছে সরকারি হাসপাতালে শুধুমাত্র লোকবলের অভাবে নষ্ট হয়েছে এবং নষ্টের পথে সব যন্ত্রপাতিগুলো। তাহলে কিভাবে জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করবেন আপনারা বা করবে আপনার সরকার!
ডাক্তারদের মধ্যেও ফাঁকিবাজ ডাক্তার আছে মানছি যারা ফাঁকি দেয় বা যথাযথ নিয়ম মানে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন কিছু কিছু খারাপ ডাক্তারের কারণে মহান ডাক্তারি পেশা কে খারাপ বানাবেন না। এই নগ্ন প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে হবে এবং যথাযথ স্থায়ী সমাধানের পথ বের করতে হবে সরকারকেই।
সর্বশেষ একটি অনুরোধ জানাবো মাননীয় এমপি মহোদয় জনাব, মাশরাফি বিন মুর্তজা কে আপনি যদি পারেন সংসদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সামনে রেখে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট পেশা নিয়ে কথা বলুন এবং এই পেশার সকল সমস্যা দূর করে অতি দ্রুত নিয়োগের ব্যবস্থা করুন তাহলে বাংলাদেশের মানুষ অল্প খরচে রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে সুচিকিৎসা পাবে তবেই সরকারের সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত হবে! নিয়োগ প্রক্রিয়া অবশ্যই ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী হতে হবে।
ডাক্তারঃনার্সঃমেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (১ঃ৩ঃ৫) (World Health Organisation) পরিসংখ্যান অনুযায়ী।
উপরোক্ত লেখায় যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন, কারণ আমি লেখক নই!
মোঃ আবুল কালাম আজাদ
মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ল্যাবরেটরি মেডিসিন)