চলো যাই যুদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে। কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার এস.এম. তানভীর আরাফাত, পিপিএম যোগদানের পর সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে মাদকের বিরুদ্ধে তার অবস্থান সম্পর্কে তুলে ধরেন। তিনি বলেন মাদক কুষ্টিয়া থেকে চিরতরে নির্মূল করতে যা যা করণীয় সবকিছুই করা হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাদক বিরোধী জিরো টলারেন্স ঘোষণা পর থেকেই কুষ্টিয়া মিরপুর ও ভেড়ামারা থানার সার্কেল (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) নূর-ই-আলম সিদ্দিকীর নির্দেশে অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম ও আমিনুল ইসলাম মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান শুরু করেন। এ অভিযানে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেন তিনি।
মাদক বিরোধী সংগঠন কুষ্টিয়া জেলা মাদক প্রতিরোধ কমিটির আমন্ত্রণে বেশ কয়টি মাদক বিরোধী গণ সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানেও অংশগ্রহণ করেন ইবি থানার সার্কেল (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী। মাদক বিরোধী গণসচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে মাদকের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে পরিবারকে নিজ নিজ সন্তানের প্রতি খেয়াল রাখার জন্য পরামর্শ দেন এবং মাদক ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ারি করে বলেন মাদক ব্যবসা বন্ধ না করলে তার পরিণতি ভয়াবহ।
এদিকে জানা যায়, মিরপুর ও ভেড়ামারা থানা এলাকায় মাদকের ভয়াবহতা অনেকটাই কম। এখান থেকে মাদককে জিরো টলারেন্সে আনতে সার্কেল (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী ব্যাপকভাবে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
মিরপুর থানা পুলিশের তথ্যমতে জানা যায়, ১লা জুলাই থেকে এ পর্যন্ত মাত্র ৩ মাসে মাদক বিরোধী অভিযানে মামলা হয়েছে ৩৪ টি। আসামি গ্রেফতার হয়েছে ৪৩ জন। ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে ১৮৫৬ পিচ, হেরোইন ০.৫ গ্রাম, ফেনসিডিল ২৩৫ বোতল ও গাঁজা ২.৯৮০ কেজি ও বাংলা মদ ৪০ লিটার।
অপরদিকে ভেড়ামারা থানা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, তিন মাসে মাদক মামলা ১৫ টা। আসামি গ্রেফতার ২০ জন। ইয়াবা উদ্ধার ৬৩৪ পিচ, গাঁজা ১ কেজি ৬১০ গ্রাম, ফেন্সিডিল ৫৭ বোতল।
এদিকে কুষ্টিয়া জেলা মাদক প্রতিরোধ কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি হাসিবুর রহমান জানান, মিরপুর ও ভেড়ামারা থানায় একের পর এক যেভাবে মাদক বিরোধী অভিযান চালাচ্ছে ও গণসচেতনতা বৃদ্ধি করছে এভাবে যদি প্রতিটি থানার পুলিশ কাজ করে যায় তাহলে মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে খুব বেশি সময় লাগবে না।
কুষ্টিয়া মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে মাদকের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ ঘোষনা করেছি। মাদকের ছোবল থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করা গেলে এই দেশটাকে সোনার বাংলায় হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা যাবে। এই এলাকা মাদকমুক্ত করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। কোন মাদক ব্যবসায়ীকে ছাড় দেয়া হবে না। মাদক ব্যবসায়ীরা কারো বন্ধু হতে পারে না তারা দেশ ও জাতির শত্রু। যুবসমাজকে রক্ষা করতে হলে এই সমাজ থেকে মাদককে চিরতরে নির্মূল করতে হবে।
ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বলেন, মাদককে কোন ভাবেই প্রশ্রয় দেয়া হবে না। মাদক জিরো টলারেন্সে আনতে যা যা করণীয় সবকিছুই করা হবে।
এদিকে সার্কেল (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী প্রতিবেদককে জানান, মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ। মাদকের ভয়াল ছোবল থেকে সমাজ বাঁচাতে কোন ছাড় নয় মাদক সংশ্লিষ্টদের। মাদক বিরোধী অভিযানে সদা তৎপর আছি আমি ও আমার থানার সকল পুলিশ সদস্যরা। যেকোনো মূল্যে মাদক জিরো টলারেন্সে আনার ঘোষণাও দেন তিনি।