অল্পের জন্য রক্ষা পেল ডিপিএইচই ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ অন্যান্য যাত্রীর প্রাণ
চালক ঘুমায় বাড়িতে হেল্পার চালাই ট্রাক! এতে সড়কে প্রায়ই ঘটে চলেছে দূর্ঘটনা। আজও কুষ্টিয়া মহাসড়কে হেল্পার একটি বালুর ট্রাক চালিয়ে যাওয়ার সময় একটি গাড়িকে সজোরে ধাক্কা দিলে অল্পের জন্য প্রাণে বেচে যান ও গাড়িতে থাকা এক জন নির্বাহী প্রকৌশলী ।
স্থানীয়রা জানান, আজ সোমবার বিকেলে কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ মহাসড়কের কুষ্টিয়া ইবি থানার লক্ষ্মীপুর বাস স্ট্যান্ডে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের কুষ্টিয়া কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী গাড়িটি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় একটি বালু বোঝাই ট্রাক বেপরোয়াভাবে গাড়িটিকে সামনে ধাক্কা দেয় । ট্রাকের ধাক্কায় নির্বাহী প্রকৌশলী গাড়িটি সামনের অংশ দুমড়ে যায়। এ ঘটনায় এক পথচারী আহত হয়েছে। কিন্তু একটুর জন্য বেঁচে প্রাণ রক্ষা হয় গাড়িতে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সি মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান, সদর উপজেলা সাব এসিস্ট্যান্ট অফিসার মোছাঃ কাকলী ও ঠিকাদার মনিরুজ্জামানের।
দুর্ঘটনার শিকার দুই অটো চালক হচ্ছে ইবি থানার পশ্চিম আব্দালপুরের রিয়াজ ও শিবপুর এলাকার লুৎফর মন্ডল এর ছেলে বিদ্যুৎ। এ সময় রিয়াজ গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল প্রেরণ করে। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় পরে ধাওয়া করে ট্রাকটিকে আটক থানা পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় জনতা।
এদিকে ট্রাকটির চালক শাহজাহানের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি ড্রাইভার নয় ওই গাড়ির হেলপার। গতকাল ফরিদপুর থেকে গাড়ি নিয়ে কুষ্টিয়াতে বালু বোঝাই করতে এসেছিল। কুষ্টিয়া থেকে বালু বোঝাই করে ঝিনাইদাহ এর উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে শেখপাড়া বাজারে থেমে থাকা স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের গাড়িতে ধাক্কা দিলে গাড়িটি সামনে থাকা দুটি ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সাকে চাপা দেয়।
হেল্পার শাজাহান স্বীকার করেন তিনি ড্রাইভার নয় তার পিতা আলাউদ্দিন এই গাড়ির ড্রাইভার। পিতার কাছ থেকেই গাড়িটি নিয়ে তিনি কুষ্টিয়া তে ভালো লোড করতে আসেন। গতকাল আসার সময় রাজবাড়ী জেলার পাংশা পুলিশ গাড়িটি ধরলে ৫০ টাকার বিনিময় সেখান থেকে উদ্ধার পায় তিনি। এরপর আবারও কুমারখালীর মধ্য থেকে পুলিশ আটক করে ওই গাড়িটি সেখানে পুলিশকে দিতে হয় ১শ টাকা। তার নিকট থাকা একটি ফিলিপ দেখিয়ে বলে এই সিলেট দেখালে নাকি কেউ তার গাড়ি আটকে রাখতে পারবে না কারণ ওই স্লিপের মাধ্যমে প্রতি মাসে ২হাজার থেকে ২৫শ টাকা মাসোয়ারা দিতে হয়। গাড়িটির নাম্বার ঝিনাইদহ ট-১১-০৮৬২।
ইবি থানার অফিসার ইনচার্জ রতন শেখ জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে লক্ষীপুর থেকে জনতার হাতে আটক ট্রাকটিকে আমরা থানায় নিয়ে এসে মামলা দিয়েছি। ওই গাড়িটি একজন অল্পবয়স্ক হেলপার চালাচ্ছিল বলেও জানান তিনি।