এম এস মাহমুদ, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় প্রাণ গেলো কামনা খাতুনের (২০)। ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। কামনা খাতুন শহরের কালিয়া হরিপুর গ্রামের মোঃ আবু কালামের মেয়ে। এ নিয়ে শহরে নানা গুঞ্জন ও সমালোচনা শুনা যাচ্ছে।
কিছু দিন আগে সিরাজগঞ্জ শহরে ভুল চিকিৎসায় এক প্রসূতি মৃত্যু যন্ত্রনায় শয্যাশায়ী বলে অভিযোগ ওঠে এ ব্যাপারে বিভিন্ন অনলাইন ও স্থানীয় পত্রিকা খবর প্রচার করে। কামনা খাতুন মারা যাওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন মহলে দৌড় ঝাপ দিচ্ছে বিষয়টি গোপন রাখার জন্য।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুন গর্ভবতী কামনা খাতুন (২০) এর প্রসব ব্যাথা উঠলে সিজারিয়ানের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের জন্য তাকে সিরাজগঞ্জ সদরের আরাফাত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।২৬ জুন সিজার করার উদ্দেশ্যে ডা.কমল কান্তি রুগীকে অজ্ঞান করেন এবং ডা.আব্দুর রশিদ সিজার অপারেশনের মাধ্যমে বাচ্চা প্রসব করান। সিজার অপারেশনের পর থেকেই কামনা খাতুন অসুস্থ হয়ে পড়ে। তিনদিন পর বাড়ি নিয়ে এলে ক্রমশয় আরো বেশি অসুস্থ্য হয়ে পড়ে সে।
মেয়ের অবস্থা খারাপ দেখে বাবা আবু কালাম আবার মেয়েকে ডা. আব্দুর রশিদের কাছে নিয়ে যান। ডা. আব্দুর রশিদ রুগীকে মেডিসিন বিশেষজ্ঞের কাছে রেফার্ড করেন।মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার পর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়। কামনা খাতুন সুস্থ হলে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়।
কিন্তু কিছু দিন পর আবার সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। মুমূর্ষ অবস্থায় ২৩ আগষ্ট তাকে আবার সিরাজগঞ্জ সদরের কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়। সেখানে রুগীর অবস্থা আরও অবনতি হলে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। রুগীকে ঢাকাতে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে কামনা মারা যায়।
এ বিষয়ে আরাফাত হাসপাতালের পরিচালক ডা. অব্দুর রশিদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায় নাই।