হাতির ছবি ক্যামেরাবন্দী করতে গিয়ে হাতির হামলায় প্রাণ গেল এক বাংলাদেশি পর্যটকের। পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ডুয়ার্সের চাপরামারির রাস্তায় ওই পর্যটককে পিশে মারল হাতি। মৃত পর্যটকের নাম কনক সায়মন (৪৩)। তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাতীয় নেতা মরহুম নূর আলম জিকুর বড় ছেলে জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির গণমাধ্যম সম্পাদক।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেলের দিকে জলপাইগুড়ির জঙ্গল সাফারি থেকে ফেরার পথে হাতির হামলার মুখে পড়েন ওই ব্যক্তি। জানা গেছে, গাড়িতে ফেরার সময় দুই পাশে জঙ্গলে ঘেরা চাপমারির রাস্তার ওপরে চন্দ্রচূড় ওয়াচ টাওয়ার সংলগ্ন একটি জায়গায় একটি দাঁতাল হাতিকে দেখতে পান সায়মন। এরপরই খুব কাছ থেকে ওই হাতির ছবি তুলতে যান তিনি। এসময় হাতিটি তাড়া করে তাকে শুঁড়ে পেচিয়ে ওপরের দিকে ছুড়ে মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই পর্যটকের।
বন্ধুদের সাথেই জলপাইগুড়িতে জঙ্গলে বেড়াতে এসেছিলেন মৃত সায়মন এবং জলং’এর একটি রিসর্টে উঠেছিলেন তারা। মূলত জঙ্গল সাফারির জন্য তারা প্রত্যেকেই লাটাগুড়িতে আসেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছান নাগরাকাটা থানার পুলিশ। লাশটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
হাতির হামলায় বাংলাদেশি পর্যটকের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের বনমন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মন ও পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। উভয়েই এই ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
কনকের বাবা নূরে আলম জিকু বিখ্যাত নেতা ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও মুজিব বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার ছিলেন। এছাড়াও তিনি অবিভক্ত জাসদের কার্যকারী সভাপতি ছিলেন। স্বাধীনতার আগে জিকু চিত্রপরিচালক ছিলেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে তাকে রাজনীতিতে নিয়ে আসেন।
সাইমুন কনকের মৃত্যুতে জাসদ শোকপ্রকাশ করেছে। দলটি শোকাহত পরিবাবের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।
নিহত সাইমুন কনকের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে।