কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের ভালুকা পূর্বাশা গ্রামে স্বামী ও স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পান্টি ইউনিয়নের ভালুকা পূর্বাশা গ্রামের ভরতচন্দ্র মন্ডলের কন্যা সোহাগী রাণী মন্ডল (২২) এর সাথে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপার ভবানীপুর ডিহি কবড়ী গ্রামের কোমল কুমার রায়ের পুত্র দিপুল কুমার রায়(৩১) এর ৩ মাস পূর্বে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়।
এই বিয়ে সোহাগী রানীর অমতে হয়েছিল বলে তারা অভিমত ব্যক্ত করে। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে যেকোন কারনে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। পুজা উপলক্ষে দিপুল কুমার শশুড় বাড়িতে তার স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে আসে এবং গতকাল ১০ সেপ্টেম্বর রাতে একসাথে খাবার খায়।
সকালে ঘরের দরজা না খুললে সোহাগী রানীর চাচাতো ভাই লিপুসহ অন্যান্যরা দরজা ধাক্কাধাক্কি করে ভিতরে প্রবেশ করে দেখে দিপুল কুমার ঘরের ডাবের সাথে ঝুলে আছে এবং সোহাগী রানী বেডে মৃত অবস্থয় শুয়ে আছে।
ধারনা করা হচ্ছে বিপুল কুমার প্রথমে তার স্ত্রীকে মেরে পরবর্তীতে নিজেই ডাবের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছ।
ইতিমধ্যে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সার্কেল নুরানী ফেরদৌস দিশা, কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম এবং চৌরঙ্গী তদন্ত ক্যাম্প ইনচার্জ স্বপন মৃত বাড়িতে অবস্থান করছেন। এবং লাশ পোস্টমর্টেম এর জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত জানান, ঘটনাস্থলে কুমারখালী থানার ওসি এবং অতিরিক্ত পুলিশ গিয়েছে। আমরা জানার চেষ্টা করছি হত্যা না আত্মহত্যা।