বিদ্যুতের দাবিতে শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের(ইবি) ভিসির বাংলো ঘেরাও করে অবস্থান নেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা ডাইনিং, আবাসন, পরিবহন সমস্যার কথাও তুলে ধরেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণের পদত্যাগ দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পরে ঘটনাস্থলে সহকারি প্রক্টর এ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. নাছিরউদ্দীন আযহারী, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি প্রফেসর ড. আকরাম হোসাইন মজুমদার, মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. জাকারিয়া রহমান, লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রফেসর ড. আসাদুজ্জামান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফেসর ড. তালুকদার মো. লোকমান হাকিম উপস্থিত হন।
এসময় উপস্থিত শিক্ষকরা এ সমস্যা নিরসনে শিক্ষার্থীদের দাবি ভিসি প্রফেসর ড. হারুন উর রশিদ আসকারী বরাবর লিখিতভাবে দিতে বলেন। পরে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা শনিবারের মধ্যে সমস্যার সমাধান না করলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়ে হলে ফেরে।
এসময় প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি প্রফেসর ড. আকরাম হোসাইন মজুমদার শিক্ষার্থীদের বলেন, শনিবারের মধ্যে আমরা বৈদ্যুতিক সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহন করব। তোমরা হলে ফিরে যাও।
জানা যায়, সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিদ্যুৎ যায়। টানা পাঁচ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পর রাত ১২টায় বিদ্যুৎ আসে।
আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের কক্ষে জেনারেটরের ব্যবস্থা না থাকায় সন্ধ্যা থেকেই অন্ধকারের মধ্যে কাটাতে হয়। বেশ কয়েকটি বিভাগে শনিবার কোর্স ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় বিপাকে পড়েন তারা। ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হলের বেশ কয়েকজন আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, সন্ধ্যা ৭টা থেকে ১২টা পর্যন্ত টানা ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ নেই। কাল আমাদের কোর্স ফাইনাল পরীক্ষা। শিক্ষাজীবনের পরীক্ষার আগের রাতে প্রস্ততিটাই আসল। অথচ সন্ধ্যা থেকে একবারের জন্যও টেবিলে বসতে পারিনি।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, ডাইনিং ও পরিবহন সমস্যা চলে আসছে। প্রশাসনকে জানানোর পরও এর কোনো প্রতিকার হচ্ছে না। এ অচল অবস্থা চলতে থাকলে ক্যাম্পাস আন্তর্জাতিকীকরণের পথ হারাবে।
এ বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুল বলেন, কুষ্টিয়ার বটতৈল এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার পুড়ে যায়। সেটা রিপ্লেস করতে একটু সময়ও লেগে যায়। ফলে সন্ধ্যার পর থেকেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছে।
এছাড়া জেনারেটরের ব্যাপারে তিনি বলেন, দুটি হলে লোড বেশি হওয়ায় বারবার সুইচ পড়ে যাচ্ছে। এটার সমাধান করতে হলে হয় লোড বাড়াতে হবে, না হয় রুমের কানেকশন বন্ধ করতে হবে।