মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন বলিউডের জনপ্রিয় ও শক্তিশালী অভিনেতা ইরফান খান (৫৩)। গতকালই ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) এ খবর জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা ইরফান খান মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।
সম্প্রতি বাসায় থাকা অবস্থায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ইরফান খান। এরপর দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ইরফানের সঙ্গে তার স্ত্রী সুতপা শিকদার এবং দুই ছেলেও রয়েছেন। এর আগে আইসিউতে নিলে তার মৃত্যুর খবর রটে। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বলিউড অঙ্গনে।
পিকুখ্যাত এ তারকা অভিনেতা দীর্ঘদিন কোলন ইনফেকশনসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন। সবশেষ তিনি মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে ইরফান খানের মুখপাত্র।
মাত্র চার দিন আগে গত শনিবার (২৫ এপ্রিল) তাঁর মা জয়পুরে মারা যান। লকডাউনের কারণে সেখানে পৌঁছতে পারেননি ইরফান। তবে বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের দাবি, অসুস্থতার জন্যই মায়ের শেষকৃত্যে যেতে পারেননি অভিনেতা। ব্রেনে টিউমার নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে লড়াই করছেন তিনি। সুস্থ হয়ে ‘আংরেজি মিডিয়াম’ ছবির মধ্যে দিয়ে কামব্যাকও করেছিলেন তিনি। কিন্তু আবারও অসুস্থ হয়ে ভর্তি হলেন ইনফেকশন নিয়ে।আজ সকালে হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়।
অনুরাগীদের উদ্দেশে বুধবার টুইটারে ইরফান লেখেন, “জীবনে জয়ী হওয়ার সাধনায় মাঝে মধ্যে ভালবাসার গুরুত্ব ভুলে যাই আমরা। তবে দুর্বল সময় আমাদের তা মনে করিয়ে দেয়। জীবনের পরবর্তী ধাপে পা রাখার আগে তাই খানিক ক্ষণ থমকে দাঁড়াতে চাই আমি। অফুরন্ত ভালবাসা দেওয়ার জন্য এবং পাশা থাকার জন্য আপনাদের সকলকে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। আপনাদের এই ভালবাসাই আমার যন্ত্রণায় প্রলেপ দিয়েছে। তাই ফের আপনাদের কাছেই ফিরছি। অন্তর থেকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি সকলকে।” ফিরে এসেছিলেন ইরফান। তাঁর শেষ মুক্তি পাওয়া ছবি ‘আংরেজি মিডিয়াম’ লকডাউনের জেরে থিয়েটার রিলিজ হয়নি। দুই ছেলে আর আর স্ত্রীকে রেখে ইরফান পাড়ি দিলেন নতুন দুনিয়ায়।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইরফান খানের নিউরো অ্যান্ডোক্রিন টিউমারে আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে আসে। এরপর দীর্ঘ সময় লন্ডনে চিকিৎসা হয় এই অভিনেতার। গত বছর এপ্রিলে ভারতে ফেরেন তিনি।
বক্স অফিসে ইরফানের কামব্যাক সিনেমা ছিল ‘আংরেজি মিডিয়াম’। যদিও করোনার জেরে এক সপ্তাহও হলে টেকেনি এই সিনেমা। আপাতত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ডিজনি হটস্টারে স্ট্রিম হচ্ছে সিনেমাটি।