যশোরে গৃহবধূ কল্পনা বেগমকে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে খুনী রুবেল হোসেনকেও গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।
সোমবার (২৭ আগস্ট) শহরের ঘোপ এলাকা থেকে গ্রেফতারের পর পুলিশ তাকে আদালতে সোপর্দ করে। আদালতে রুবেল হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
রুবেল সদর উপজেলার পুলেরহাট-মন্ডলগাতি গ্রামের মৃত তরিকুল ইসলামের ছেলে।
জবানবন্দিতে রুবেল আদালতকে জানান, চৌগাছা উপজেলার কাকুড়িয়া-নওদাপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের মেয়ে কল্পনা বেগম দুই মেয়ে নিয়ে যশোর শহরতলীর কিসমত নওয়াপাড়া হাইওয়ে মডেল টাউনে আনিছুর রহমানের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। এ সময় তার সঙ্গে কল্পনা বেগমের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর জেরে রুবেল প্রায়ই কল্পনার বাসায় যাওয়া-আসা করতেন। রুবেলেরও বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান রয়েছে।
গত ২২ আগস্ট রাতে রুবেল কল্পনার বাসায় যান। সেখানে রুবেল এবং কল্পনা ইয়াবা এবং মদ পান করেন। পরদিন রুবেল বাড়িতে স্ত্রী-সন্তানকে দেখার জন্য যেতে চান। কিন্তু কল্পনা তাকে যেতে দিতে রাজি হয়নি। ফলে দুজনের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। ২৪ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় হাতের কাছে পেয়ে একটি স্লাইড রেন্স দিয়ে কল্পনার মাথায় আঘাত করেন রুবেল। এতে কল্পনা মাটিতে পড়ে যান।
পরে আবার মাথায় আঘাত করলে মারা যান কল্পনা। এরপর তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রেখে কল্পনার মেয়েকে ডেকে আত্মহত্যার কথা বলে রুবেল পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে রুবেলকে আসামি করে পরদিন কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন।