কুষ্টিয়া ৪ লাক্ষ টাকা যৌতুকের দাবীতে দ্বিতীয় স্ত্রীকে বেধড়ক পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে যৌতুক লোভী স্বামী কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা আদর্শ কলেজজের প্রভাষক আব্দুল কাইয়ুম গহর।
নির্যাতিত ওই নারী নাসরিন পারভীন থানায় মামলার খবরাখবর নিয়ে থানা থেকে বের হওয়া মাত্র আবারও জনসম্মুখে স্বামীর হামলার শিকার হয়ে এখন হাসপাতালের বেডে আতংকের মাঝে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অপর দিকে স্বামী প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাকে পুলিশ আটক করছে না এবং স্বামী গহর তাকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে গুম করে দেবে এমনই হুমকী দিচ্ছেন বলে অভিযোগ ওই নারী।
জানাযায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রভাষক গহর প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শাওতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নাসরিন পারভীন কে। বিয়ের পর থেকেই তার কাছে ৪ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে গহর। উপায় না পেয়ে নাসরিন কয়েক দফায় কিছু টাকা দেন গহরকে। কিছুদিন যেতে না যেতে আবারও ৪ লাখ টাকা দাবিতে স্ত্রী নাসরিনকে নানাভাবে নির্যাতন চালাতে থাকে। কিন্তু নাসরিন এত টাকা এক সাথে দিতে পারবে না সাফ জামিয়ে দিলে তার উপর নির্যাতনের মাত্রা আরো বারিয়ে দেন স্বামী গহর। এরই এক পর্যায়ে গত ২২ জুন নাসরিন কে বেধড়ক পেটায় স্বামী গহর। পরে নাসরিন কে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করে।
চিকিৎসা নিয়ে ঐ নারী শিক্ষিকা নাসরিন গত ২৪ জুন স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২৮, তারিখ ২৪শে জুন ২০১৯ ইং।
এদিকে ওই নারী আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া শহরে এলে আবারও নাসরিনের উপর জনসন্মুখে হামলা চালায়ে তাকে বেধড়ক মারপিট করে পালিয়ে যায় প্রভাষক গহর। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এর পর থেকে গহর বিভিন্নভাবে স্ত্রী নাসরিন কে হুমকী দিচ্ছেন বলে হাসপাতালের বেডে শুয়ে এমনই অভিযোগ করেন নাসরিন। এতে সে হাসপাতালের বেডেও চরম আতংকের মাঝে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
এদিকে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার কুন্ডু মামলার বিষয়ে নিশ্চিত করে জানান, তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।