ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ভাটই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ এবং স্কুল ঘেরাও করেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
ওই স্কুলছাত্রীর স্বজনরা জানান, প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে সকালে চতুর্থ শ্রেণির ওই স্কুলছাত্রী স্কুলের আঙিনা ঝাড়ু দেয়। দুপুরে টিফিনের বিরতি দিলে প্রধান শিক্ষক ওই মেয়েকে বাথরুমে গিয়ে হাত-মুখ ধুতে বলেন। মেয়েটি হাত-মুখ ধুতে গেলে শিক্ষক শহিদুল ইসলাম তাকে শ্লীলতাহানি করে। মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের ঘটনাটি বলে।
এরপর পরিবারের সদস্যরা ও মেয়েটির সহপাঠিরা শিক্ষকের গ্রেফতারের দাবিতে স্কুল ঘেরাও ও ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ও শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উসমান গনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই শিক্ষককে গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে তারা সড়ক অবরোধ তুলে নেয়।
অভিযুক্ত শিক্ষক শহিদুল ইসলামকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও তার স্বজনরা।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। নির্যাতিতা থানায় অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উসমান গনি বলেন, স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। এলাকার মানুষ ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ। এলাকাবাসী বলছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পূর্বেও এ ধরনের অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।