পাবনার চাটমোহরের চলনবিলে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৫ জনের মধ্যে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরী দল। আর মোবাইলে সেলফি উঠাতে গিয়ে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে ঈশ্বরদীর কলাম লেখক মোশারফ হোসেন মুসার স্ত্রী শাহনাজ পারভীন পারুল এর মরদেহ উদ্ধার করে তারা। এ সময় দুর্ঘটনা কবলিত নৌকাটিও উদ্ধার করে উদ্ধারকারীরা।
রাজশাহী থেকে আসা ডুবুরী দলের প্রধান মো: নুরুন্নবী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ১০মিনিটের দিকে উদ্ধার করা হয় ঈশ্বরদী আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন গণি’র স্ত্রী মমতাজ পারভীন শিউলীর এর মরদেহ। শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে চলনবিলের চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল পাইকপাড়া ঘাট এলাকায় নৌকাডুবির এ ঘটনা ঘটে।
নৌকাডুবির ঘটনায় এখনও ৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এরা হলেন, ঈশ্বরদী আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন গণি, ঈশ্বরদী আমবাগান এলাকার ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম স্বপন বিশ্বাস এবং তার মেয়ে সাদিয়া খাতুন।
এর আগে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে রাজশাহীর একটি ডুবুরী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং রাত ১১টা ৫০ মিনিটে পানিতে নেমে নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার অসীম কুমার ও সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) তাপস কুমার পাল।
এদিকে, দুর্ঘটনার পর প্রথম অবস্থায় উদ্ধারকারী কিশোর সুমন হোসেন জানান, আমি ওই নৌকার পিছনে ছিলাম। দুর্ঘটনার সময় আমি প্রথমে মানুষজনকে উদ্ধার করি। ২২ জনের মধ্যে ১৭ জনকে উদ্ধার করি। বাকি ৫ জন নিখোঁজ ছিল। সুমন আরো জানান, মুলত নৌকায় বেড়ানোর সময় নৌকার ছাদের ওপর (ছই) উঠে মোবাইলে সেলফি উঠাতে গিয়ে ছই ভেঙ্গে বিলের পানিতে ডুবে যায় নৌকাটি।