এক সপ্তাহ পর আবারো পশু হাটের দখলে বালিয়াপাড়া স্কুল এন্ড কলেজের খেলার মাঠ। আজ সকাল থেকে খেলার মাঠটি ব্যাবহার করছে পশুহাট ইজারাদাররা। পশু হাটের দখলে থাকা খেলার মাঠ উদ্ধারের জন্য প্রচন্ড বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে গত শনিবার মাঠের উত্তর দিকে বাঁশ দিয়ে ঘিরে দুপুরে পশুহাট চলাকালীন সময়ে আলামপুর বালিয়া পাড়া স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন। উক্ত মানববন্ধনে প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
গত ১৮ই জুলাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) খলিলুর রহমান এসেছিলেন উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠানের মাল্টিমিডিয়া ক্লাস পরিদর্শন করতে। সে সময় কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুলিয়া সুকাইয়না, এডিসি জেনারেল হাবিব হাসান, এ্যাসিল্যান্ড সাকিব আল রাব্বি ও জেলা শিক্ষা অফিসার উপস্থিত ছিলেন। এ সময় স্কুল ও কলেজের সকল শিক্ষক শিক্ষিকামন্ডলীসহ সকল ছাত্র/ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।
সকলের উপস্থিতিতে খেলার মাঠ সম্পর্কে অধ্যক্ষকে বলেন খেলার মাঠের একি অবস্থা তার এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা জানান পাশেই একটি পশু হাট রয়েছে উক্ত পশু হাটের সমস্ত ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন এই প্রতিষ্ঠানের মাঠ ব্যবহার করছে। এ প্রসঙ্গে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, আমরা হাট লিজ দিয়েছি মাঠতো লিজ প্রদান করি নাই।
এর উত্তরে মহাপরিচালক অধ্যক্ষকে বলেন, দোকান নির্মান করে দিন নইলে প্রাচীর দিয়ে ঘিরে দেন, যদি না পারেন সিমেন্ট এর খুটি বসিয়ে তার কাটা দিয়ে ঘিরে দেন, যদি তাও না পারেন ছাত্রদের হাতে কোদাল তুলে দিয়ে নালা কেটে দেন, যেন পশু হাটের কোন গাড়ী এই খেলার মাঠে প্রবেশ করতে না পারে। এটা যদি না করেন তাহলেতো শিক্ষার্থীরা মাদকের নেশায় আক্রান্ত হয়ে পড়বে। মহাপরিচালকের কথার ওপর ভিত্তি করে মনে সাহস নিয়ে গত শনিবার পশুহাটের দিন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা খেলার মাঠটি বাঁশ দিয়ে ঘিরে দুপুরে মানববন্ধন করে।
এরই এক পর্যায়ে আজ শনিবার থেকে আবার খেলার মাঠটি ব্যাবহার করছে ইজারাদাররা!
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ আবু বকর সিদ্দিক মুঠোফোনে জানান আজ সকালে প্রতিষ্ঠানের গর্ভনিং বডি, এলাকার মন্ডল-মাতব্বর, সচেতন মহল ও যুব সমাজের সাথে ইজরাদারদের বৈঠক হয়। ইজারাদাররা বলেন তাদের হাটের জন্য বরাদ্দকৃত জায়গা ব্যাবহার অনুপযোগী, আসছে সামনে কোরবানীরবাজার এতো স্বল্প সময়ে উপযোগী জায়গা তৈরী করা সম্ভব না এখন তারা নিরুপায়। তাই তাদেরকে খেলার মাঠটি ব্যাবহার করতে দেওয়া হোক বিনিময়ে ১০ দিনের মধ্যে ইজারাদাররা মাঠে বালি ফেলে সংস্কার করে দেবেন বলে সবাইকে আশস্ত করেন।
এই প্রস্তাবে আলোচনা সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ঠ সকলে সম্মতি প্রদান করেন এবং ইজারাদারদের বলেন আগামি ১০ দিনের মধ্যে খেলার মাঠ সংস্কার না হলে আবার খেলার মাঠটি বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে।
অধ্যক্ষ আবু বকর সিদ্দিক আরো জানান আগামি মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির মিটিং ডাকা হয়েছে,ওইদিন এই বিষয়ের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।