কুষ্টিয়া শহরের মঙ্গলবাড়িয়া ৬ মাসের অন্তঃসত্তা গৃহবধূর গলাই ওড়না পেচানো লাশ উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। সে কুষ্টিয়া মঙ্গলবাড়িয়া এলাকার শ্যামালী পরিবহনের সুপারভাইজার পলাশের স্ত্রী।
জানা যায়, আজ(বুধবার) গৃহবধূ ফিরোজার পরীক্ষা দিতে যাওয়ার কথা ছিল ইশ্বরদীতে। এ নিয়ে তার স্বামীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে বাকবিতণ্ডা হয় বলে জানান নিহতের শাশুড়ি। তিনি বলেন, আমার বৌমা প্রচণ্ড জেদি। সে ৬ মাসের অন্তঃসত্তা হওয়ায় ফিরোজাকে পরীক্ষা দিতে যেতে নিষেধ করে তার স্বামী। প্রতিবেশি সূত্রে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যায় ফিরোজার শাশুড়ি ডায়বেটিক্স এর রোগী হওয়ায় বাইরে হাটতে যায়। সন্ধ্যা ৭ টার দিকে সে বাড়িতে ফিরে এসে দেখে ঘরের দরজা বন্ধ। অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করে সাড়াশব্দ না মেলাই প্রতিবেশিরা ছুটে এসে জানালার ফাঁক দিয়ে দেখতে পাই গৃহবধূ ফিরোজা গলাই ওড়না পেচিয়ে ঝুলে আছে।
পরে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ফিরোজা কে নামিয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(অপারেশন) শেখ ওবায়দুর রহমান জানায়, লাশ সুরতাহাল প্রতিবেদন সম্পন্ন হয়েছে। আগামীকাল(বুধবার) সকালে লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।