বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি কুষ্টিয়া জেলা শাখার নির্ধারিত মূল্যের কমে বই বিক্রয় করলেই জরিমানা গুনতে হচ্ছে লাইব্রেরিয়ানদের। আর এই সিন্ডিকেট-এর বিরুদ্ধে বছরে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ঠকিয়ে কোটি কোটি টাকা আয় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গাইড বই বিক্রয় নিষিদ্ধ থাকলেও মানছে না বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি কুষ্টিয়া জেলা শাখা। অনেক সময় তারা নিজেদের ক্ষমতা দেখিয়ে বিভিন্ন লাইব্রেরিকে গাইড বই কম মূল্যে বিক্রয় করার জন্য জরিমানা করছে।
এই সিন্ডিকেট প্রতিবছর এই বইয়ের মূল্য দ্বিগুণ করে শিক্ষকদের ম্যানেজ করে দ্বিগুণ মূল্যে বিক্রয় করছে। আর এভাবেই প্রতিনিয়ত গরিব ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকদের রক্ত ঘামানো টাকায় কোটিপতি হচ্ছে সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজন। আর স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে ঘুষ দিয়ে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি কুষ্টিয়া জেলা শাখার নেতৃবৃন্দরা তাদের নির্ধারিত গাইড বই কিনতে বাধ্য করছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
এদিকে একটি সূত্রে জানা যায়, এইচএসসি মডেল প্রথমপত্র পূর্বের নির্ধারিত মূল্য ছিল ৩৩০ টাকা বর্তমানে তার দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩৮০ টাকা ও নবদূত মডেল প্রথম পত্র পূর্বের দাম ছিল ২৮০ টাকা বর্তমানে বইটি মূল্য দেয়া হয়েছে ৩৩০ টাকা। আর এইসব বই কম মূল্যে বিক্রয় করায় নিউ পুথিঘর, বুক প্যালেস, গ্রন্থমেলা ও আদর্শ লাইব্রেরীকে জরিমানা করেছে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি কুষ্টিয়া জেলা শাখা নেতৃবৃন্দরা বলে জানা গেছে।
এদিকে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি রহমত আলীর মুঠোফোনে কম মূল্যে বই বিক্রয় এর অভিযোগে জরিমানা করা হয়েছে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমাদের একটি নীতি বাস্তবায়ন সাব কমিটি হয়েছে, তারাই এই জরিমানা করেছে।
তবে নীতিনির্ধারণ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন সবুজের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি এই জরিমানার বিষয়ে কিছুই জানিনা। জেলা কমিটির নেতারা সাথে কেন্দ্র থেকে আসা কিছু নেতা এই জরিমানা করেছে। এই নেতা কারা তাও আমি জানি না।